close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

হাসিনার নোবেল স্বপ্ন: রোহিঙ্গা সংকট ও বাংলাদেশের চরম বিপদ!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের মোহে পড়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা! কিন্তু সেই সিদ্ধান্তই কি আজ বাংলাদেশের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি কেবল মানবিক সিদ্ধান্ত ছিল না..

নোবেলের মোহে সর্বনাশ: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সংকটে রোহিঙ্গা ইস্যু!

শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জেতার মোহে পড়ে এক ভয়াবহ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীর কাছে মানবতার ফেরিওয়ালা হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কূটনীতিক ও বিশ্লেষকদের সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে নেওয়া এই সিদ্ধান্তই আজ বাংলাদেশকে এক ভয়াবহ সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার আশায় শেখ হাসিনা প্রচলিত আইন-নীতি ভুলে গিয়েছিলেন। তিনি নোবেল জয়ের জন্য রাষ্ট্রের টাকায় লবিস্ট নিয়োগ করেছিলেন, বিদেশি গণমাধ্যমে নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে প্রচারণা চালিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নোবেল তো পাননি, বরং দেশকে একটি ভয়ংকর পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছেন। আজ রোহিঙ্গা শিবিরগুলো অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে, অস্ত্র ও মাদকের আগ্রাসনে বিপর্যস্ত কক্সবাজার, টেকনাফসহ পুরো দেশ।

বিশ্লেষকদের সতর্কবার্তা আমলে নেননি হাসিনা

২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হলে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। তখন শেখ হাসিনা ঘোষণা দেন, ‘আমরা ১৬ কোটি মানুষকে খাবার দেই, কিছু রোহিঙ্গাকেও খাওয়াতে পারবো।’ এই মানবিক আহ্বানের আড়ালে ছিল তার রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলেন, ‘শেখ হাসিনা ভেবেছিলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলে তিনি সহজেই নোবেল পাবেন। কিন্তু তিনি একবারও ভাবেননি, এই জনগোষ্ঠী চিরতরে বাংলাদেশে রয়ে গেলে দেশের কী ভয়াবহ পরিণতি হবে।’

রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারে নিরাপত্তা সংকট!

উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গাদের অবস্থানের ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা নিজভূমিতে পরবাসী হয়ে পড়েছেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো এখন অপরাধের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। ইয়াবা পাচার, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, অস্ত্র ব্যবসা, মানব পাচার—সবকিছুই বাড়ছে ভয়াবহ হারে।

একজন সরকারি কর্মকর্তা যুগান্তরকে জানান, ‘রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনেকে গোপনে বিশেষ সামরিক প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তাদের সংযোগ রয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে প্রতিনিয়ত খুনোখুনি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।’

আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ও ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ

বিশ্লেষকরা মনে করেন, রোহিঙ্গা সংকটকে ঘিরে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রও রয়েছে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বড় শক্তিগুলোর ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত। রোহিঙ্গাদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালানো হতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা আরও জোরদার করতে হবে। এটি আমাদের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’

আগেও কূটনৈতিকভাবে রোহিঙ্গাদের ফেরানো হয়েছিল, কিন্তু এবার থমকে গেছে কেন?

১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান ও ১৯৯২ সালে খালেদা জিয়া কূটনৈতিক চাপে মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করেছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনার শাসনামলে এই প্রক্রিয়া থমকে যায়। এর পরিবর্তে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের মাটিতে স্থায়ীভাবে রয়ে যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে ভয়াবহ চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী?

বিশ্লেষকদের মতে, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার লোভে বাংলাদেশ আজ ভয়াবহ সংকটে পড়েছে। দেশের অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতা চরম হুমকির মুখে। এখন সময় এসেছে বাস্তবসম্মত সমাধান খোঁজার—নইলে ভবিষ্যতে আরও ভয়ঙ্কর পরিণতি অপেক্ষা করছে।

Ingen kommentarer fundet