close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

হাসিনা চ্যাপ্টার ক্লোজড, আওয়ামী লীগ আর কখনো ফিরবে না: হাসনাত আবদুল্লাহ..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
In a massive rally in Jhenaidah, NCP leader Hasnat Abdullah declared that the Hasina era is over forever. "Awami League will never return—not from Dhaka, Delhi, or London," he asserted.

ঝিনাইদহে বিশাল পদযাত্রায় এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ দাবি করেছেন, শেখ হাসিনার অধ্যায় চিরতরে শেষ। আওয়ামী লীগের আর কোনো প্রত্যাবর্তন নেই—দেশের মাটিতে নয়, দিল্লি বা লন্ডন থেকেও নয়।

ঝিনাইদহের পায়রা চত্বরে আয়োজিত এক বিশাল পদযাত্রা ও পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ আওয়ামী লীগ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “হাসিনা চ্যাপ্টার ক্লোজড। আওয়ামী লীগ আর কখনো বাংলাদেশে ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না। এই মাটিতে ওদের জায়গা নেই।”

পথসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগকে সরাসরি সন্ত্রাসী সংগঠন বলে অভিহিত করেন। তিনি অভিযোগ করেন, “ভারতের মাটিতে বসে আমাদের বিপ্লবীদের হত্যার চক্রান্ত করছেন হাসিনা। আওয়ামী লীগের নেতারা যতই দিল্লি কিংবা লন্ডন থেকে রাজনীতি চালাতে চান না কেন, বাংলাদেশের মানুষ আর তাদের গ্রহণ করবে না।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা বিচার ও সাংবিধানিক সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচনে অংশ নেব না। আগে বিচার, তারপর নির্বাচন। এই আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক কৌশল নয়—এটা নতুন বাংলাদেশের পুনর্গঠনের লড়াই।”

হাসনাত আবদুল্লাহ দাবি করেন, দেশে গণতন্ত্র নেই, আইনের শাসন নেই, মানুষের ভোটাধিকার নেই। “বিচারহীনতা, জবাবদিহিহীনতা, এবং ক্ষমতার দাপট এখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে,” তিনি বলেন।

তিনি অভিযোগ করেন, দেশের সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের পরিস্থিতিও ভয়াবহ। “আজ অধিকাংশ সাংবাদিককে শুধু একটা পরিচয়পত্র আর বুম ধরিয়ে বলা হয়, এলাকায় গিয়ে খেটে খাও। এটা শুধু অপমান নয়, এটা সাংবাদিকতার প্রতি অবমাননা,” বলেন তিনি।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর নির্মম নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, “ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বাংলাদেশিদের পাখির মতো গুলি করে মারছে বিএসএফ। এটা নিঃসন্দেহে মানবতাবিরোধী অপরাধ। এটা এখনই থামাতে হবে।”

নাহিদ ইসলাম বলেন, “হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার, সাংবিধানিক সংস্কার, এবং জুলাই সনদের পূর্ণ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই এনসিপি রাজনীতিতে ফিরবে। কোনো আপস নয়—এটাই আমাদের অবস্থান।”

সভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্যসচিব আক্তার হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা নাসির উদ্দীন পাটোয়ারি, ডা. তাসনীম জারা, সারজিস আলম, যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রেজা, শহীদ রাকিবের মা হাফিজা খাতুন, শহীদ সাব্বিরের পিতা আমোদ আলীসহ অনেকে।

পদযাত্রা ঘিরে ঝিনাইদহ শহর পরিণত হয় এক বিশাল রাজনৈতিক উৎসবে। শহরের প্রতিটি মোড়ে, অলিতে গলিতে ছিল ফেস্টুন, ব্যানার আর পোস্টারে ঢাকা। ব্যানারগুলোতে নেতাদের মুখচ্ছবি ও রাজনৈতিক বার্তা স্পষ্ট ছিল। উৎসবমুখর পরিবেশে অংশগ্রহণ করেন হাজারো নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ।

এ যেন এক প্রতীকী বিদায় জানানো আওয়ামী লীগ শাসনের প্রতি, আর প্রত্যাবর্তনের সংকেত একটি নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার দিকে।

Inga kommentarer hittades