close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

হামাসের কৌশলে ক্ষে'পণা/স্ত্র হাম/লা চালিয়েছে পাকি/স্তান, দাবি নয়াদিল্লির..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
জম্মু ও পাঞ্জাব সীমান্তে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা—ভারতের সেনা সূত্র বলছে, এটি হামাসের কৌশল অনুসরণ করে পাকিস্তানের চাল। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান বলছে, ভারতের নাটকীয়তার জবাব সিনেমা হলে..

দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে নতুন করে উত্তেজনার ঘনীভবন। একদিকে ভারতের সেনাবাহিনীর দাবির ঝড়—হামাসের কৌশল অনুসরণ করে পাকিস্তান ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে জম্মু ও পাঞ্জাবে। অন্যদিকে, ইসলামাবাদ এই অভিযোগকে আখ্যা দিয়েছে “সিনেমার চিত্রনাট্য” হিসেবে।

কী ঘটেছিল ৯ মে সন্ধ্যায়?
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যার পর জম্মু ও পাঞ্জাবের একাধিক কৌশলগত স্থাপনা—বিশেষত সেনাছাউনি, বিমানঘাঁটি ও আধাসামরিক বাহিনীর কার্যালয়—লক্ষ্য করে পাকিস্তান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। একই সঙ্গে ছিল ড্রোন হামলার প্রচেষ্টা।

তবে ভারত দাবি করছে, তাদের এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা—যাকে তারা ‘সুদর্শন চক্র’ বলে ডাকে—এই হামলাগুলো মাঝ আকাশেই ভেঙে ফেলতে সক্ষম হয়। ফলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

হামাসের ছায়া পাকিস্তানের পেছনে?
গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের এই হামলার ধরন ও কৌশল হুবহু মিলে যাচ্ছে ইসরায়েলে হামাসের ব্যবহৃত রকেট হামলার কৌশলের সঙ্গে। এতে প্রশ্ন উঠছে—হামাস কি পাকিস্তানকে কৌশলগত সহায়তা দিচ্ছে?

ভারতের তরফ থেকে আরও বলা হয়, জম্মু, পাঞ্জাব এবং রাজস্থানের বিস্তীর্ণ এলাকায় সাময়িক ব্ল্যাকআউট কার্যকর করা হয়। বিকানের, অমৃতসর, জালন্ধর, কিশ্তওয়ার, আখনূর, ও সাম্বার মতো এলাকাগুলিতে বিদ্যুৎ ও কমিউনিকেশন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় যাতে সামরিক প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা নিরাপদে বাস্তবায়ন করা যায়।

 পাকিস্তানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া: ‘নাটক চলছে নয়াদিল্লিতে’
ভারতের এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আইএসপিআর-এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেন:

 

এই যে ভারতের ১৫টি জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি, সেটি নিছক কল্পনা। হামলা হলে আগুনের চিহ্ন, ধ্বংসস্তুপ থাকার কথা, কিন্তু সব জায়গাতেই শুকনো মাঠ!"

তিনি আরও বলেন,

 

পাকিস্তান যদি পাল্টা জবাব দেয়, তা ঘোষণার প্রয়োজন নেই—বিশ্ব নিজেই টের পাবে। ভারতের মিডিয়া তখন বাস্তব ভিডিওর জন্য আর নাটক বানাতে পারবে না।"

🇵🇰 উপপ্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি:
সেই একই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। তিনি বলেন,

 

পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী সর্বদা প্রস্তুত। ভারতের যেকোনো আগ্রাসনের কঠোর জবাব দেওয়া হবে। কোনো এডিটেড ভিডিও দরকার পড়বে না, ভারত নিজেই বুঝে যাবে।”

 ভারতের দাবি বনাম পাকিস্তানের কটাক্ষ—কোথায় সত্য?
বিশ্লেষকদের মতে, এই মুহূর্তে দুটি পক্ষই নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে চাইছে। পাকিস্তান প্রকাশ্যে যেভাবে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যর্থতা নিয়ে বিদ্রুপ করছে, তেমনি ভারতও আকাশ প্রতিরক্ষায় ‘সুদর্শন চক্র’-এর সফলতা তুলে ধরে নিজেদের সক্ষমতা প্রদর্শন করছে।

তবে প্রশ্ন থেকেই যায়—এটি কি সত্যিকারের সামরিক সংঘাতের ইঙ্গিত, নাকি নির্বাচনী আবহে কৌশলগত উত্তেজনা বাড়িয়ে রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার প্রচেষ্টা?

Inga kommentarer hittades


News Card Generator