সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, গুম কমিশনের প্রতিটি সদস্যের কাছে জাতি ঋণী থাকবে। তিনি উল্লেখ করেন, তারা অসাধারণ সাহস ও সততার সঙ্গে গুম চক্রের অন্ধকার ইতিহাস উন্মোচন করেছেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ও জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, গুম কমিশনের প্রতিটি সদস্যের কাছে এই জাতি চিরঋণী থাকবে। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গুম কমিশনের প্রতিটি সদস্য অসাধারণ দৃঢ়তা ও সততার সঙ্গে কাজ করেছেন। তারা সাহসিকতার সঙ্গে হাসিনারেজিমের সময়কার গুম চক্রের ভেতরের ইতিহাস উন্মোচন করেছেন, যা এই দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য এক ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, কমিশনের সদস্যরা দেখিয়েছেন—অন্যায় যতই শক্তিশালী হোক, সত্য কখনো দীর্ঘদিন লুকিয়ে থাকে না।
গুম কমিশনের প্রতিটি সদস্যের কাছে এই জাতি ঋণী থাকবে। অসাধারণ ডিটারমিনেশন আর সিনসিয়ারিটি নিয়ে তারা হাসিনারেজিমের গুম চক্রের ভেতরের ইতিহাস তুলে এনেছেন। এটা দেখে কি মনে হয় বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক এন্টারপ্রাইজ হিসাবে অপারেট করছিলো?
দুয়েকজনকে বলতে শুনি আওয়ামী লীগকে তার অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। তারা যদি একটু খুলে বলতেন, কোন অধিকার? গুম করার? খুন করার? লুট করার? ভোট ছাড়া অনন্তকাল ক্ষমতায় থাকার? লাইলাতুল ইলেকশনের? সার্বভৌমত্ব কমপ্রোমাইজ করার?
ফারুকীর এই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অনেকেই তার পোস্ট শেয়ার করে মন্তব্য করছেন, গুম কমিশনের সাহসী ভূমিকা বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। অন্যদিকে, কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন—এই কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবে কতটা কার্যকর হবে এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হবে কি না।
সম্প্রতি গঠিত গুম কমিশন দেশজুড়ে আলোচিত বেশ কিছু নিখোঁজ ও গুমের ঘটনা তদন্ত করে একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনে দীর্ঘদিনের অন্ধকার অধ্যায় উন্মোচিত হয়েছে, যেখানে রাষ্ট্রীয় সংস্থার ভূমিকা নিয়েও তীব্র প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
ফারুকীর মন্তব্য সেই আলোচনাকেই আরও তীব্র করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, একজন সংস্কৃতি ব্যক্তিত্বের পক্ষ থেকে এমন স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া সমাজে ন্যায়ের পক্ষে এক শক্তিশালী বার্তা পাঠাচ্ছে।
যারা এই কমিশনে কাজ করেছেন, তারা শুধু রাষ্ট্রীয় নয়, মানবতার পক্ষেও কাজ করেছেন। ইতিহাস একদিন তাদের নাম শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারণ করবে।