গরম রোদে দাঁড়িয়ে থাকা সেই মানুষগুলো, যাদের ঘামে ভেজা পরিশ্রমে পৌঁছে যায় আপনার প্রিয় খাবার

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
নামি-দামি রেস্টুরেন্ট থেকে প্রিয় খাবার অর্ডার করে বাড়ির আরামদায়ক পরিবেশে বসে তা উপভোগ করা আমাদের অনেকের দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কিন্তু আমরা কি একবারও
নামি-দামি রেস্টুরেন্ট থেকে প্রিয় খাবার অর্ডার করে বাড়ির আরামদায়ক পরিবেশে বসে তা উপভোগ করা আমাদের অনেকের দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কিন্তু আমরা কি একবারও ভেবে দেখি, সেই খাবার পৌঁছে দিতে কতটা কষ্ট সহ্য করতে হয় একজন ডেলিভারি পার্সনকে? প্রচণ্ড রোদ, বৃষ্টি কিংবা তীব্র শীত—সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে তারা দাঁড়িয়ে থাকে রাস্তায়, শুধু আমাদের অর্ডার সময়মতো পৌঁছে দিতে। আমাদের একটি মাত্র অর্ডারের সমপরিমাণ আয়ের জন্য তাদের হয়তো কয়েকদিন কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। এই মানুষগুলোর পরিশ্রমের পেছনে লুকিয়ে আছে অগণিত গল্প—পরিবারের দায়িত্ব, সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন, কিংবা দৈনন্দিন জীবনের বেঁচে থাকার লড়াই। অনেকেই হয়তো দুপুরের খাবার না খেয়ে, বিশ্রাম না নিয়ে একের পর এক ডেলিভারি দিয়ে চলেছে। তবুও তাদের মুখে থাকে একটুকরো হাসি, কারণ সেটাই পেশাদারিত্বের পরিচয়। আমাদের উচিত এই মানুষগুলোর প্রতি সম্মান দেখানো। হয়তো এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানি বা একটি সদাচরণ তাদের দিনটিকে কিছুটা সহজ করে তুলতে পারে। আরেকটি ছোট্ট কাজ যা আমরা সহজেই করতে পারি—একটি সামান্য টিপস। হয়তো সেই অর্থ তাদের জন্য অনেক বড় সহায়ক হতে পারে। পরিশেষে, মনে রাখা জরুরি, এই মানুষগুলো আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাদের কঠোর পরিশ্রম ছাড়া হয়তো আমরা এত সহজে আমাদের প্রিয় খাবারের স্বাদ নিতে পারতাম না। তাই কৃতজ্ঞতা আর মানবিকতার দৃষ্টিতে তাদের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আব্দুল্লাহ আল মামুন লেখক ও সাংবাদিক
Không có bình luận nào được tìm thấy