বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন নতুনভাবে এআই-ভিত্তিক কর্মসূচি ‘এআই অ্যান্ড আই’ চালু করেছে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য গ্রাহক অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করা এবং কর্মীদের ক্ষমতায়ন। গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান জানিয়েছেন, এটি একটি নতুন অভিযাত্রার সূচনা, যেখানে এআই এবং ব্যক্তি মানুষের যুগপৎ কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রামীণফোন তার ৮ কোটি ৬০ লাখের বেশি গ্রাহকদের প্রয়োজন অনুসারে স্মার্ট এবং দ্রুত সেবা প্রদান করতে সক্ষম হবে। নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে গ্রাহক সেবা ও বিপণন সব ক্ষেত্রেই এআই অন্তর্ভুক্ত করছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে করে গ্রাহকদের চাহিদা এবং পছন্দ অনুযায়ী আরও প্রাসঙ্গিক সেবা প্রদান সম্ভব হবে।
গ্রামীণফোনের এই উদ্যোগে সিসকোর সহযোগিতা এবং এনভিআইডিআইএ জিপিইউ প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের প্রথম এন্টারপ্রাইজ উপযোগী ‘এআই ফ্যাক্টরি’ চালু করা হয়েছে। এর ফলে উচ্চ গতির এআই মডেলের উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। কর্মীদের জন্য এআই ট্রেনিং নিশ্চিত করছে গ্রামীণফোন, যা কর্মীদের মধ্যে থেকে উদ্ভাবনী সমাধান বের করে আনতে সাহায্য করবে।
কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য চালু করা হয়েছে ‘জিপি আইডিয়াথন’, যেখানে প্রতিষ্ঠানটির সব পর্যায় থেকে উদ্ভাবনের ধারা নিশ্চিত করা হবে। এই অত্যাধুনিক অবকাঠামো ও কৌশলগত ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো অঞ্চল জুড়ে ভবিষ্যতের এআই-ভিত্তিক টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের নেতৃত্বের সাক্ষ্য বহন করে।
গ্রামীণফোনের এই উদ্যোগের মাধ্যমে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ উন্মোচিত হবে। এআই পরিচালন ব্যবস্থার মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ইন্টেলিজেন্ট এইচআর বটের ব্যবহার এবং উন্নতমানের সেবা নিশ্চিত করতে এআই-ভিত্তিক নেটওয়ার্ক অপটিমাইজেশন করা হচ্ছে।
এই উদ্যোগের ফলে গ্রামীণফোন তার মানবসম্পদকে আরো স্মার্ট ও গতিশীল করে তুলবে। কর্মীদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি তার গ্রাহকদের জন্য আরো স্মার্ট সেবা নিশ্চিত করতে পারবে। এই কর্মসূচি বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে এবং এআই-ভিত্তিক টেলকো-টেক কোম্পানিতে রূপান্তরের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
