close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

গোপালগঞ্জে নিষিদ্ধ সংগঠনের প্রকাশ্য মিছিল! ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিলেন ইলিয়াস হোসেন..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
গোপালগঞ্জে প্রকাশ্যে মোটরসাইকেল মিছিল করেছে নিষিদ্ধ সংগঠন—এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়েছেন ইলিয়াস হোসেন। সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে প্রশাসন ও ..

বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কার্যকলাপ অনেক আগেই আইনগতভাবে নিষিদ্ধ হলেও গোপালগঞ্জে সেই নিষেধাজ্ঞা যেন মুখ দেখানো নিয়মেই পরিণত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ই মে) গোপালগঞ্জ শহরে প্রকাশ্যে মোটরসাইকেল মিছিল করেছে এক নিষিদ্ধ সংগঠন। এই ঘটনা মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং নেটিজেনদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।

ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বিশিষ্ট নাগরিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইলিয়াস হোসেন এক ফেসবুক পোস্টে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “গোপালগঞ্জে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন প্রকাশ্যে মোটরসাইকেলে করে মিছিল করেছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওদের সবাইকে গ্রেফতার করতে হবে। তানাহলে মনে করবো, ওই জেলার এসপি, ডিসি এবং সেনাবাহিনীর লোকজন এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত।”

ইলিয়াস হোসেনের সরাসরি হুঁশিয়ারি

তার বক্তব্যে শুধু ক্ষোভই নয়, বরং স্পষ্ট হুঁশিয়ারিও ছিল। তিনি আরও বলেন, “গোপালগঞ্জ বাংলাদেশের বাইরে কোনো অঞ্চল নয় যে সেখানে ভিন্ন আইন চলবে। এখানেও সংবিধান ও আইনের শাসন কার্যকর হওয়া উচিত।”

এই বক্তব্যের মাধ্যমে ইলিয়াস হোসেন প্রশাসনের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং ঘটনার বিচার দাবি করেছেন। তার পোস্টে সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা, দেশের সার্বভৌমত্ব এবং প্রশাসনিক জবাবদিহিতার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ পেয়েছে।

প্রশ্নের মুখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা

যেখানে একাধিক রাজনৈতিক দল, সংগঠন এবং নেতাকর্মীদের প্রতিনিয়ত নিয়ন্ত্রণে রাখা হচ্ছে, সেখানে কিভাবে একটি নিষিদ্ধ সংগঠন দিব্যি প্রকাশ্যে মিছিল করতে পারে—এটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। স্থানীয় প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দায়িত্বহীনতা এবং ব্যর্থতা নিয়ে ইতোমধ্যেই জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।

অনেকে বলছেন, যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপযুক্ত পদক্ষেপ না নেয়া হয়, তবে দেশের অন্যান্য অংশেও এমন ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।

জনগণের দাবি: অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা

ইলিয়াস হোসেনের বক্তব্যের পর সাধারণ মানুষও সোচ্চার হয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই লিখেছেন, “এ ধরনের সংগঠনের বিরুদ্ধে যদি শক্ত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।”

একজন নাগরিক মন্তব্য করেন, “এটা শুধু গোপালগঞ্জের সমস্যা নয়, এটা জাতীয় নিরাপত্তা ও আইনের শাসনের প্রশ্ন। প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ দরকার।”

সমাধানের দাবি

এই ঘটনার পর সারাদেশের মানুষ চাইছে, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হোক। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যেন রাজনৈতিক চাপ উপেক্ষা করে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে, এটাই জনআকাঙ্ক্ষা। কেউ যেন আইনের ঊর্ধ্বে থাকতে না পারে—এই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে।



গোপালগঞ্জের এ ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছে, তেমনি নতুন করে আলোচনায় এসেছে নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যকলাপ। ইলিয়াস হোসেনের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন কত দ্রুত ও কার্যকরভাবে এই ঘটনার মোকাবিলা করে এবং জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করে।

コメントがありません