গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন আইজিপি বাহারুল আলম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জে এনসিপির (ন্যাশনাল কনসেন্সাস পার্টি) ঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম আজ বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, পুলিশ পুরো পরিস্থিতিকে ধৈর্য ও সংযমের সঙ্গে সামাল দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, “উচ্ছৃঙ্খলতা যতটুকু হয়েছে, আমরা তা ধৈর্যের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। আমরা এখন রিইনফোর্সড (অতিরিক্ত ফোর্স পাঠানো) করছি, পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে। আমরা কোনো লিথ্যাল (প্রাণঘাতী) অস্ত্র ব্যবহার করছি না, তাই আমাদের কিছুটা সময় লাগছে।”
বিকেল থেকে গোপালগঞ্জ শহরে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এনসিপির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করলে, এলাকাজুড়ে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ ও প্রশাসন সম্মিলিতভাবে চেষ্টা চালায় যাতে সহিংসতা না ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, সে কারণে মাঠে নামানো হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স।
আইজিপির বক্তব্যের সময় পর্যন্ত, অর্থাৎ সন্ধ্যা পর্যন্ত, পুরোপুরি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। তবে সেনা ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে এনসিপির নেতা-কর্মীদের গোপালগঞ্জ শহর থেকে বের করে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের ধৈর্যের নীতি এবং সহনশীল অবস্থানের কারণে বড় ধরনের সংঘাত এড়ানো সম্ভব হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জনসাধারণকে নিরাপদে রাখতে চেষ্টা করছেন এবং সংঘর্ষ এড়াতে কাজ করছেন।
আইজিপি বাহারুল আলম আরও বলেন, “আমরা কারও ওপর অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করছি না। আমাদের দায়িত্ব শুধু আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা। আমরা চাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক, সবাই নিরাপদ থাকুক।”
অন্যদিকে, এনসিপির পক্ষ থেকে অভিযোগ এসেছে যে তাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হলেও পুলিশ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। তবে পুলিশ বলছে, বিশৃঙ্খলা এড়াতে তারা যা করছে, তা সম্পূর্ণ ন্যায্য ও সংবিধানসম্মত।
গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি এখনো নজরদারিতে রয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন থাকবে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পুলিশ ধাপে ধাপে ব্যবস্থা নিচ্ছে যাতে কোনো প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে।