close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

Google Veo 3-এর জাদুতে ছবিতে দিন প্রাণ: তৈরি করুন একই রকম দেখতে AI চরিত্র!..

Md Azhar Uddin avatar   
Md Azhar Uddin
কোনো অভিনেতা ছাড়াই পণ্যের বিজ্ঞাপনে একটি নির্দিষ্ট ডিজিটাল মাসকট বা চরিত্র ব্যবহার করা।..

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI ব্যবহার করে ভিডিও তৈরির জগতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল চরিত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা। অর্থাৎ, একই চরিত্রকে ভিন্ন ভিন্ন দৃশ্যে বা ভঙ্গিমায় আনা হলেও তার চেহারায় পরিবর্তন চলে আসত। কিন্তু Google-এর যুগান্তকারী ভিডিও জেনারেশন মডেল Veo 3-এর সর্বশেষ আপডেটের পর এই সমস্যার এক দারুণ সমাধান এসেছে। এখন আপনি শুধু একটি ছবি বা বর্ণনা ব্যবহার করেই তৈরি করতে পারবেন একই রকম দেখতে ডিজিটাল চরিত্র এবং তাকে দিয়ে করিয়ে নিতে পারবেন যেকোনো কাজ।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আপনিও হয়ে উঠতে পারেন একজন AI ভিডিও নির্মাতা।

কীভাবে কাজ করে এই প্রযুক্তি?

 

এই কাজটি মূলত দুটি ধাপে সম্পন্ন হয়। একটি হলো চরিত্র তৈরি করা এবং অন্যটি হলো সেই চরিত্রকে ব্যবহার করে ভিডিও বানানো। এর জন্য Google-এর দুটি ভিন্ন টুলস ব্যবহার করা হয়।

ধাপ ১: চরিত্র তৈরির ভিত্তি (Google Whisk)

প্রথমেই আপনাকে আপনার কাঙ্ক্ষিত চরিত্রের একটি ছবি তৈরি করতে হবে। এই কাজটি করার জন্য Google Whisk একটি অসাধারণ টুল।

  • বিস্তারিত বর্ণনা দিন: Google Whisk-এ গিয়ে আপনি আপনার কল্পনার চরিত্রটি দেখতে কেমন হবে, তার বিস্তারিত বর্ণনা লিখুন। যেমন: "একজন ২৫ বছর বয়সী হাসিখুশি বাংলাদেশী তরুণ, নীল পাঞ্জাবি পরা, চোখে চশমা, এলোমেলো চুল, একটি বইয়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।"

  • ছবি ও প্রম্পট তৈরি: আপনার বর্ণনা অনুযায়ী, Google Whisk মুহূর্তের মধ্যে সেই চরিত্রের একটি উচ্চ মানের ছবি তৈরি করে দেবে। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, ছবির পাশাপাশি এটি ঐ চরিত্রের একটি বিস্তারিত "ক্যারেক্টার প্রম্পট" (Character Prompt) তৈরি করে দেবে। এই প্রম্পটটিই হলো ধারাবাহিকতা রক্ষার মূল চাবিকাঠি।


 

ধাপ ২: চরিত্রে গতি আনা (Google AI Studio ও Veo 3)

একবার আপনার চরিত্রের ছবি এবং "ক্যারেক্টার প্রম্পট" তৈরি হয়ে গেলে, এবার তাকে দিয়ে ভিডিও বানানোর পালা। এই কাজটি করতে হবে Google AI Studio-তে।

  • প্রম্পট যুক্ত করুন: Google AI Studio-তে গিয়ে প্রথমে Google Whisk থেকে পাওয়া "ক্যারেক্টার প্রম্পটটি" পেস্ট করুন।

  • অ্যাকশন বা কাজ যোগ করুন: এরপর আপনি চরিত্রটিকে দিয়ে কী করাতে চান, সেই নির্দেশনা যোগ করুন। যেমন: "ঢাকার একটি ব্যস্ত রাস্তায় হাঁটছে" অথবা "একটি ক্যাফেতে বসে কফি খাচ্ছে।"

  • ভিডিও তৈরি: Veo 3 তখন আপনার দেওয়া দুটি নির্দেশনাকে একসাথে করে একটি ভিডিও তৈরি করবে, যেখানে আপনার তৈরি করা চরিত্রটি আপনার নির্দেশিত কাজটি করবে।

সবচেয়ে অসাধারণ বিষয় হলো, আপনি যতবারই নতুন কোনো কাজের নির্দেশনা দেবেন, Veo 3 প্রতিবারই হুবহু একই চেহারার চরিত্রটিকে ব্যবহার করবে। এমনকি চরিত্রটি যদি বাংলায় কথাও বলে, তার ঠোঁটের নড়াচড়াও হবে নিখুঁত।

এর ব্যবহারিক প্রয়োগ কোথায়?

এই প্রযুক্তির সম্ভাবনা অপরিসীম। কয়েকটি উদাহরণ হলো:

  • ডিজিটাল মার্কেটিং: কোনো অভিনেতা ছাড়াই পণ্যের বিজ্ঞাপনে একটি নির্দিষ্ট ডিজিটাল মাসকট বা চরিত্র ব্যবহার করা।

  • কনটেন্ট তৈরি: ইউটিউবার বা সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা তাদের গল্পের জন্য একটি নির্দিষ্ট ডিজিটাল অ্যাভাটার তৈরি করতে পারেন।

  • শিক্ষামূলক ভিডিও: যেকোনো বিষয় পড়ানোর জন্য একজন নির্দিষ্ট ডিজিটাল শিক্ষক তৈরি করা, যিনি ধারাবাহিক সব ভিডিওতে থাকবেন।

  • স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: স্বল্প বাজেটে অ্যানিমেটেড শর্টফিল্ম বা গল্পের চরিত্রগুলোকে জীবন্ত করে তোলা।

গুগলের এই নতুন প্রযুক্তি সাধারণ মানুষের জন্যেও পেশাদার মানের ভিডিও তৈরির দরজা খুলে দিয়েছে। সুতরাং, আপনার কল্পনাকে ডানা মেলতে দিন আর Google Veo 3 ব্যবহার করে তৈরি করুন আপনার নিজের ডিজিটাল চরিত্র!

No comments found