close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

গণতন্ত্রের যাত্রা পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে: খালেদা জিয়া

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বললেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতি পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শহীদ জিয়ার শাহাদাৎবার্ষিকীতে ভার্চুয়াল বক্তৃতায় জানালেন, খুব শিগগিরই বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।..

গণতন্ত্রকে বন্দি রাখা হয়েছে, কিন্তু এটি আর বেশিদিন আটকে রাখা যাবে না: খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশের গণতন্ত্রের যাত্রা আজ চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও আত্মত্যাগ স্মরণ করে তিনি বলেন, “গণতন্ত্রকে যারা বন্দি করে রেখেছে, তারা বেশিদিন সফল হবে না। বাংলাদেশের মানুষ খুব শিগগিরই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবে।”

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। এটি ছিল শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচির অংশ। দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে ফিরে এই প্রথমবার তিনি প্রকাশ্যে কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য রাখলেন।

শহীদ জিয়ার আত্মত্যাগ ও নেতৃত্বের স্মরণ

খালেদা জিয়া বলেন, “বাংলাদেশের জন্ম ও স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম। স্বাধীনতার ঘোষণা যিনি দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম থেকে, সেই জায়গা থেকেই তার নাম ইতিহাসে অমর হয়ে রয়েছে। তিনি ছিলেন এক সৎ, সাহসী, দূরদর্শী এবং প্রকৃত দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রনায়ক।”

তিনি আরো বলেন, শহীদ জিয়া শুধু একজন যোদ্ধা ছিলেন না, ছিলেন দেশের গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং একটি স্বনির্ভর জাতির ভিত্তি স্থাপনকারী মহানায়ক। “জাতীয়তাবাদী চিন্তা ও জনগণের ওপর আস্থা রেখে যে রাজনৈতিক দর্শন তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেটিই আজ আমাদের প্রেরণা।”

গণতন্ত্রের বাধা ও ভবিষ্যতের প্রত্যয়

আলোচনায় তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “শহীদ জিয়ার রক্তের বিনিময়ে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল, আজ তা ধ্বংসপ্রাপ্ত। রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে স্বাধীনতার সংকোচন, বাক-স্বাধীনতার অবসান এবং বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ দেখা যাচ্ছে। নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু আমি আশাবাদী— এই স্বৈরাচারী দমননীতি বেশিদিন চলবে না। জনগণ খুব শিগগিরই বাংলাদেশকে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে পাবে।”

তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “আমাদের লড়াই শান্তিপূর্ণ, সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক। শহীদ জিয়ার দেখানো পথেই আমাদের চলতে হবে। দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রেখে এবং জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের আন্দোলনকে সফল করতে হবে।”

জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান

বেগম খালেদা জিয়া দেশের জনগণকে আহ্বান জানান যেন তারা গণতন্ত্র ও উন্নয়নের পথে ঐক্যবদ্ধ হন। “সবার জন্য গণতন্ত্র ও সবার অংশগ্রহণে উন্নয়ন— এই ছিল শহীদ জিয়ার দর্শন। আমরা যদি সেই আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চাই, তবে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমাদের কাঁধে।”

তিনি বলেন, “এই দুর্দিনেও আমি আশাবাদী। ইতিহাস সাক্ষী, বাংলাদেশের মানুষ কখনো অন্যায়কে চিরকাল সহ্য করেনি। আমরাও করবো না।”

 গণতন্ত্রের জন্য লড়াই অব্যাহত থাকবে

বক্তৃতার শেষভাগে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠবে, ইনশাআল্লাহ গণতন্ত্র ফিরে আসবে। শহীদ জিয়ার আত্মত্যাগ বৃথা যেতে পারে না। তার আদর্শ বাস্তবায়নে আমাদের সংগ্রাম চলবে।”

এই আলোচনা সভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, এবং হাজারো কর্মী অংশগ্রহণ করেন। সভা শেষে শহীদ জিয়ার স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

Nenhum comentário encontrado