close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

গণভোট ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় ‘হাত দেওয়া’ যাবে না: বিএনপি..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
BNP proposes a powerful constitutional amendment to prevent any future interference in the caretaker government system without a nationwide referendum.

বিএনপি বলছে, ভবিষ্যতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে যেন কেউ মনগড়া সিদ্ধান্ত না নিতে পারে, সেজন্য সাংবিধানিকভাবে গণভোট ছাড়া পরিবর্তনের সুযোগই থাকবে না—এমন সংশোধনী দরকার।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আর কোনো গোপন ইচ্ছা বাস্তবায়ন নয়—এই বার্তা স্পষ্ট করে বিএনপি বলেছে, জনগণের অনুমতি ছাড়া কেউ যেন ভবিষ্যতে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় ‘হাত’ দিতে না পারে। সেজন্য তারা সংবিধানে একটি ‘শক্তিশালী’ সংশোধনী চেয়েছে।

মঙ্গলবার ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এ কথা বলেন। এর আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয় বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।

সালাহউদ্দিন বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি আমরা এমনভাবে সংবিধানে সংশোধন করতে চাই যেন ভবিষ্যতে কোনো সরকার একতরফাভাবে এই ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে না পারে। যদি কেউ পরিবর্তন আনতে চায়, তাহলে সেই সিদ্ধান্ত জনগণের হাতেই থাকবে—গণভোটের মাধ্যমে।

এই প্রস্তাবের মাধ্যমে বিএনপি পরোক্ষভাবে ২০১১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বাতিল করা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রশ্নটিকে সামনে নিয়ে আসছে। তবে এবার তারা চায় সাংবিধানিকভাবেই এমন নিরাপত্তা যাতে এই ব্যবস্থা আবার কেউ সহজে বিলুপ্ত করতে না পারে।

সেদিনের আলোচনায় দ্বিকক্ষ পার্লামেন্ট নিয়েও বিস্তারিত মতবিনিময় হয়। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “দ্বিকক্ষ সংসদের বিষয়ে আজকের বৈঠকে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ—দুইটির নির্বাচনী প্রক্রিয়া, ক্ষমতা বিভাজন ও কার্যাবলীর ক্ষেত্রে দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ রয়ে গেছে।

তিনি জানান, “বিএনপির ৩১ দফার রূপরেখার ভিত্তিতে আমরা উচ্চকক্ষ গঠনের একটি প্রস্তাব দিয়েছি। সেখানে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, সমাজবিজ্ঞানী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও জাতি গঠনে অবদান রাখা ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছি। এটি হলে দেশ পরিচালনায় একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কাঠামো তৈরি হবে।

বর্তমানে সংবিধানে যেভাবে সংরক্ষিত নারী আসন নির্ধারিত হয়, তার আদলেই উচ্চকক্ষ গঠনের বিষয়টি আলোচনায় আসে। তবে এ নিয়ে তীব্র বিতর্ক দেখা দেয় বৈঠকে। কেউ চাইছেন ‘প্রাপ্য ভোটের অনুপাতে’ (PR সিস্টেম) আসন নির্ধারণ করতে, আবার কেউ বলছেন—ক্ষমতার ভারসাম্য রাখতে হবে। সাধারণ বিল ও সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রেও উচ্চকক্ষের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়েও মতানৈক্য রয়েছে।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, “কিছু দল প্রশ্ন তুলেছে—আমাদের দেশে একটি অতিরিক্ত সংসদ গঠন করা অর্থনৈতিকভাবে কতটা যৌক্তিক? আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনায় এই ধরনের উচ্চ ব্যয়বহুল একটি সংসদের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তারা সংশয় প্রকাশ করেছে।”

তিনি আরও জানান, “এই সব আলোচনা ও মতামতের ভিত্তিতে ঐকমত্য কমিশন আগামী রোববার একটি সিদ্ধান্ত দেবে। এরপর বিএনপি সেই সিদ্ধান্তের পক্ষে বা বিপক্ষে তাদের আনুষ্ঠানিক মত জানাবে।

  বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে সংবিধানে গণভোট ছাড়া পরিবর্তনের সুযোগ রাখবে না—এমন সংশোধনী চায়।
  দ্বিকক্ষ পার্লামেন্টে দলগুলোর মধ্যে এখনও মতানৈক্য রয়েছে।
  উচ্চকক্ষ গঠনে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার কথা বলেছে বিএনপি।
  ব্যয়বহুল সংসদ গঠন নিয়ে অর্থনৈতিক প্রশ্নও উঠেছে।
  ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত আসছে রোববার।

Không có bình luận nào được tìm thấy