close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ঘোষণার ৯ দিনের মাথায় ফরিদপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত..

Mirza Mizanur Rahman Mizan avatar   
Mirza Mizanur Rahman Mizan
ঘোষণার ৯ দিনের মাথায় ফরিদপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত

ঘোষণার ৯ দিনের মাথায় ফরিদপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত

পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় বিএনপির গঠিত আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মাত্র ৯ দিনের মাথায় বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ত্যাগী ও পরীক্ষিত পুরাতন নেতাদের উপেক্ষা করে গঠিত এই কমিটি নিয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের তীব্র প্রতিবাদ, ক্ষোভ এবং বিক্ষোভের মুখেই অবশেষে গত ১০ জুন গঠিত এই কমিটি ১৯ জুন বাতিল করা হয়।

জানা গেছে, ১০ জুন ঘোষিত কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে আব্দুদ দাইয়ান মঞ্জু এবং সদস্যসচিব হিসেবে জিয়াউর রহমান জিয়াকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাদের নেতৃত্বাধীন কমিটি অতি দ্রুতই উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে তৎপর হয়ে পড়ে। কিন্তু এসব কমিটিতেও দলের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত, ত্যাগী এবং রাজপথে থাকা নেতাকর্মীদের বাদ দেওয়া হয়।।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ে চরম হতাশা, ক্ষোভ এবং দলীয় ভাঙনের আশঙ্কা তৈরি হয়। স্থানীয় নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান এবং সদস্যসচিব মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার স্থানীয় মতামতকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করে নিজের পছন্দমতো লোক দিয়ে কমিটি দিয়েছেন, যা দলের আদর্শ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ বিপরীত।

 

ঘোষণার ৯ দিনের মাথায় ফরিদপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত

পাবনা প্রতিনিধি
২০ জুন ২০২৫, ১২:৫১
 

পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় বিএনপির গঠিত আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মাত্র ৯ দিনের মাথায় বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ত্যাগী ও পরীক্ষিত পুরাতন নেতাদের উপেক্ষা করে গঠিত এই কমিটি নিয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের তীব্র প্রতিবাদ, ক্ষোভ এবং বিক্ষোভের মুখেই অবশেষে গত ১০ জুন গঠিত এই কমিটি ১৯ জুন বাতিল করা হয়।

জানা গেছে, ১০ জুন ঘোষিত কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে আব্দুদ দাইয়ান মঞ্জু এবং সদস্যসচিব হিসেবে জিয়াউর রহমান জিয়াকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাদের নেতৃত্বাধীন কমিটি অতি দ্রুতই উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে তৎপর হয়ে পড়ে। কিন্তু এসব কমিটিতেও দলের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত, ত্যাগী এবং রাজপথে থাকা নেতাকর্মীদের বাদ দেওয়া হয়।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ে চরম হতাশা, ক্ষোভ এবং দলীয় ভাঙনের আশঙ্কা তৈরি হয়। স্থানীয় নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান এবং সদস্যসচিব মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার স্থানীয় মতামতকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করে নিজের পছন্দমতো লোক দিয়ে কমিটি দিয়েছেন, যা দলের আদর্শ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ বিপরীত।

Pabnaপ্রেস বিজ্ঞপ্তি

ফরিদপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক নেতা আব্দুল হাকিম বলেন, ‘বহুদিন রাজপথে আন্দোলন করেছি, নির্যাতন সহ্য করেছি, জেল খেটেছি। এখন যখন রাজনীতির মাঠ কিছুটা উন্মুক্ত, তখন হঠাৎ কিছু সুবিধাভোগীকে এনে নেতৃত্বে বসানো হয়েছিল। কমিটি বাতিল হওয়ায় স্বস্তি পেয়েছি। আশা করি এবার ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের দিয়েই নতুন কমিটি হবে।’

 

মাত্র ৯ দিনের মাথায় কমিটি বাতিল প্রসঙ্গে পাবনা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নির্দেশে কমিটি বাতিল করা হয়েছে। দ্রুতই আবার কমিটি দেওয়া হবে।’

বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে চলমান এই দ্বন্দ্ব ও ক্ষোভ কেন্দ্রীয় নেতাদের নজরে আনা হয়েছে বলেও জানা গেছে। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতে, জেলা নেতৃত্বের এমন একচেটিয়া সিদ্ধান্ত ও দুর্বল সাংগঠনিক দৃষ্টিভঙ্গিই বিএনপিকে ক্ষয়িষ্ণু অবস্থায় নিয়ে গেছে। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের সমন্বয়ে নতুন কমিটি গঠন করে ফরিদপুরে বিএনপিকে আবারও আন্দোলনমুখী ও সুসংগঠিত করা হবে।

 

No comments found