close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

গালি দিয়ে বরখাস্ত, এবার সেই সংবাদ উপস্থাপিকার চাকরি ফেরানোর দাবি হাসনাতের!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বেসরকারি টেলিভিশনের এক লাইভ সম্প্রচারে জাতীয় নাগরিক পার্টির দুই নেতাকে গালি দেওয়ার ঘটনায় চাকরিচ্যুত হওয়া এক সংবাদ উপস্থাপিকার চাকরি ফেরানোর আহ্বান জানালেন হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজেই। ফেসবুক পোস্টে তিনি দ..

দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সরাসরি সম্প্রচারকালে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য এবং গালি দেওয়ার ঘটনায় এক সংবাদ উপস্থাপিকাসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। তবে এবার সেই বরখাস্তকৃত উপস্থাপিকার চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজেই।

গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘এখন’ টিভির সাংবাদিকদের চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা এই দ্বিমত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্যই আন্দোলন করেছিলাম। আমরা এই গালির স্বাধীনতার জন্যই আন্দোলন করেছিলাম। শুধু মতপ্রকাশ নয়, দ্বিমত প্রকাশও অব্যাহত থাকুক।’

এই পোস্ট মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় এবং নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। অনেকে হাসনাত আব্দুল্লাহর এই বক্তব্যকে সমর্থন জানালেও, কেউ কেউ এর বিরোধিতা করেন।

ঘটনার পেছনের কাহিনি

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হয়ে নিহত এক শিশুর জানাজায় অংশ নিতে যান হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। ওই সময় একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সরাসরি সম্প্রচারের মাঝে দুই উপস্থাপকের মধ্যে আলাপচারিতার একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অডিওতে শোনা যায়, ওই নারী উপস্থাপিকা হাসনাত ও সারজিসকে উদ্দেশ্য করে গালি দিচ্ছেন। এই অডিও প্রকাশের পরপরই প্রতিষ্ঠানটি তাকে চাকরিচ্যুত করে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে।

তবে হাসনাত আব্দুল্লাহ মনে করেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকা উচিত, এবং এটি সামগ্রিকভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

সমালোচনা ও প্রতিক্রিয়া

হাসনাত আব্দুল্লাহর এই আহ্বান সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। কেউ কেউ বলছেন, গালি দেওয়া কোনোভাবেই সাংবাদিকতার নীতিমালার মধ্যে পড়ে না, আবার অনেকে বলছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সবার জন্যই সমান হওয়া উচিত।

এদিকে, চাকরিচ্যুত উপস্থাপিকার পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। টেলিভিশন কর্তৃপক্ষও এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। তবে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই ঘটনা সাংবাদিকতার নৈতিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করবে।

এই ঘটনা শুধু একজন সাংবাদিকের চাকরিচ্যুতির বিষয় নয়, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বনাম নৈতিকতার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠেছে। এখন দেখার বিষয়, টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ হাসনাত আব্দুল্লাহর আহ্বানে কীভাবে সাড়া দেয়।

Nema komentara


News Card Generator