close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

গাজীপুরের পূবাইলে গার্মেন্টস শ্রমিককে আটকে নির্যাতন – অভিযুক্ত মোমেন আটক..

Jahangir Alam avatar   
Jahangir Alam
“আমি বুঝতে পারিনি কেন আমাকে আটকে রাখা হলো। মারধর করে বলে, ‘চুপ থাক, না হলে পরিবারকে খবর দেবো’। আমি ভয়ে ছিলাম, জানি না..
 

 জাহাঙ্গীর আলম

গাজীপুরের পূবাইলে গার্মেন্টস শ্রমিককে আটকে নির্যাতন – অভিযুক্ত মোমেন আটক

গাজীপুর, ২৫ জুন:
পূবাইল থানাধীন হাড়িবাড়ির টেক এলাকায় একজন গার্মেন্টস শ্রমিককে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে স্থানীয় জনপদ। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তি মোমেন-কে আটক করেছে পূবাইল থানা পুলিশ

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই শ্রমিক ব্যক্তিগত কাজে হাড়িবাড়ির টেক এলাকায় গেলে পূর্ব শত্রুতার জেরে অভিযুক্ত মোমেন তাকে জোরপূর্বক একটি বাড়িতে আটকে রাখে। এরপর শুরু হয় গালাগালি, মারধর ও মানসিক নির্যাতন।

🎤 ভুক্তভোগীর ভাষ্যে:

“আমি বুঝতে পারিনি কেন আমাকে আটকে রাখা হলো। মারধর করে বলে, ‘চুপ থাক, না হলে পরিবারকে খবর দেবো’। আমি ভয়ে ছিলাম, জানি না এখনো কেন এটা করল।”

পরিবার থেকে বিষয়টি পূবাইল থানা পুলিশকে জানানো হলে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মোমেনকে আটক করা হয়। পুলিশ নিশ্চিত করেছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা মিলেছে এবং নির্যাতনের কিছু আলামতও উদ্ধার করা হয়েছে।

👮‍♂️ পুলিশের ভাষ্যে:

পূবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান —

“একজন গার্মেন্টস শ্রমিককে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আমরা অভিযান চালাই। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ তদন্তাধীন এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া চলছে।”

🧍‍♂️ এলাকাবাসীর প্রতিক্রিয়া:

এ ঘটনায় হাড়িবাড়ির টেক এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

📢 মানবাধিকার সংগঠনের দাবি:

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মানবাধিকারকর্মীরা বলেন,

“একজন শ্রমজীবী মানুষকে এভাবে আটকে রেখে নির্যাতন শ্রমিক অধিকার এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। অবিলম্বে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”


📝 ঘটনার সারসংক্ষেপ:

  • অঞ্চল: হাড়িবাড়ির টেক, পূবাইল, গাজীপুর

  • ভুক্তভোগী: পোশাক কারখানার শ্রমিক

  • অভিযোগ: অবৈধভাবে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন

  • অভিযুক্ত: মোমেন (স্থানীয় বাসিন্দা)

  • অবস্থা: পুলিশ হেফাজতে, তদন্ত চলছে

Nema komentara


News Card Generator