close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সাব্বির হোসেন নামের এক তরুণকে কুপিয়ে ১০ তলা ভবনের ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার সফিপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাব্বির (২০) উপজেলার আন্ধারমানিক এলাকার লিটন মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় সাব্বিরের বড় ভাই আবির হোসেন বাদী হয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে কালিয়াকৈর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। এতে সাব্বিবের দুই বন্ধুর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩ থেকে ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
দুই আসামি মো. রাকিম (২১) ও মো. সাকিব (২১) যমজ ভাই। তাঁরা উপজেলার সফিপুর এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে। ঘটনার পর থেকে ওই দুজন পলাতক।
স্থানীয় সূত্র ও এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল রাকিব, সাকিব ও সাব্বির একসঙ্গে একটি জিমে যান। সেখান থেকে তাঁরা দুই ভাই রাকিব–সাকিবদের বাসা ইউনিক টাওয়ারের ছাদে ওঠেন। সঙ্গে ছিল স্থানীয় দুই কিশোর। পরে দুই কিশোরকে মুড়ি কিনতে দোকানে পাঠানো হয়। কিছুক্ষণ পর ওই দুই কিশোর ফিরে আসে এবং ভবনের নিচে রক্তমাখা অবস্থায় সাব্বিরকে পড়ে থাকতে দেখে। পরে তারা ছাদে গিয়ে সাব্বিরের কাটা নখ ও রক্তমাখা অস্ত্র পড়ে থাকতে দেখে। কিন্তু রাকিব ও সাকিব সেখানে ছিলেন না।
স্থানীয়রা সাব্বিরকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর থেকে রাকিব ও সাকিব নিখোঁজ। তাঁদের ফ্ল্যাট তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা গেছে।
খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। ওই ভবনের ছাদে একটি মুঠোফোন, ধারালো অস্ত্র ও নিহতের একটি কাটা আঙুল উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, বন্ধুদের মধ্যে কোনো কিছুর কারণে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় সাব্বির হোসেনকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
Không có bình luận nào được tìm thấy