গাজীপুরে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় প্রকাশ্য দিবালোকে এক সাংবাদিককে সন্ত্রাসীরা বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। এ ঘটনাটি ঘটে শহরের রেলগেট ও সাহাপাড়া এলাকায়, যেখানে আনোয়ার হোসেন নামে এক সাংবাদিককে সন্ত্রাসীরা ইট দিয়ে পায়েসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ থ্যাঁতলে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ ঘটনাটি ঘটার সময় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছিল। তারা প্রথমে এগিয়ে না আসলেও পরে আহত আনোয়ারকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আনোয়ারের পায়ে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং তার শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম হয়েছে।
আনোয়ার হোসেন একটি দৈনিক পত্রিকার গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। তার মা আনোয়ারা এ ঘটনায় সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে তিনি কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছেন। এ ঘটনায় গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, পুলিশ ইতোমধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গাজীপুরের এই ঘটনা স্থানীয় প্রশাসনের উপর আরেকবার নজর ফেলেছে, যেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং বিচারব্যবস্থা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
এই ধরনের সহিংস ঘটনা সাংবাদিকদের স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তার প্রশ্নেও নতুন করে চিন্তার উদ্রেক করেছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা এবং সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি প্রয়োজন। সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে এই ঘটনার নিন্দা জানানো হয়েছে এবং দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার দাবি উত্থাপিত হয়েছে।
আনোয়ার হোসেনের এই ঘটনায় স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখা যায় এবং এর মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কেমন পদক্ষেপ নেয়, তা ভবিষ্যতে স্পষ্ট হবে।