close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

গাজায় যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল সমর্থিত ত্রাণ কার্যক্রম বন্ধের দাবি ১৩০ সাহায্য সংস্থার..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
১৩০টিরও বেশি সাহায্য সংস্থা গাজার ত্রাণ কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল সমর্থিত বিতর্কিত জিএইচএফ-এর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলেছে।..

গাজা অঞ্চলে মানবিক সংকটের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল সমর্থিত বিতর্কিত ত্রাণ সংস্থা ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ) এর কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানিয়েছে ১৩০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা ও এনজিও।

মে মাসের শেষ দিকে গাজায় কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে জিএইচএফ-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, এর মাধ্যমে সহায়তা প্রাপ্ত ফিলিস্তিনি মানুষদের ওপর ইসরাইলি সেনারা এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে গুলি চালাচ্ছে, যা প্রায় ৫০০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু এবং ৪০০০ এর বেশি আহত হওয়ার পেছনে দায়ী।

বিশ্বখ্যাত সাহায্য সংস্থাগুলো যেমন অক্সফাম, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং অ্যামনেস্টির মতো সংস্থাগুলোও জিএইচএফ-এর কার্যক্রম বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, এই সংস্থা হামাসের হস্তক্ষেপ এড়িয়ে সরাসরি গাজার অসহায় মানুষদের সাহায্য পৌঁছে দিচ্ছে না। এর ফলে তারা মানবিক সাহায্যকে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করছে।

অন্যদিকে, ইসরাইল সরকার ও জিএইচএফ সমর্থকরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, সংস্থাটি সরাসরি সাহায্য প্রাপ্তদের কাছে সাহায্য পৌঁছে দিচ্ছে এবং তারা হামাসের প্রভাব থেকে মুক্ত। তারা বলছে, ইসরাইলি সেনারা নির্দিষ্টভাবে সাহায্যপ্রাপ্তদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় না, বরং সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।

গাজা অঞ্চলের মানুষজন দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ ও সংঘর্ষপূর্ণ পরিবেশে মানবিক সংকটে জর্জরিত। এই ত্রাণ কার্যক্রম নিয়ে বিতর্কের মধ্যে আবার নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও বিষয়টিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং মানবিক সহায়তার স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ত্রাণ কার্যক্রম যদি রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার হয় তাহলে গাজার দুর্ভোগ আরও তীব্র হতে পারে এবং সাধারণ মানুষই এর বড় শিকার হবে। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত উদ্যোগে ত্রাণ কার্যক্রমের নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখা অতীব জরুরি।

বর্তমানে গাজায় হাজার হাজার অসহায় মানুষের জীবন এবং নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো, জাতিসংঘ, এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই বিষয়ে আরও বেশি সচেতনতা এবং পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জোরালো দাবিদাওয়া করছে।

এছাড়া, গাজা সংকট সমাধানে রাজনৈতিক ও মানবিক সকল প্রচেষ্টার মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রমকে অন্তর্ভুক্ত করা এবং তার যথাযথ তদারকি নিশ্চিত করাও জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত, গাজার অসহায় মানুষদের কাছে নিরাপদ ও যথাযথ সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও ধরনের বাধা বা রাজনৈতিক চাপ সহ্য করা যাবেনা।

এই দাবিদাওয়া ও অভিযোগের পেছনে গাজার হাজারো মানুষের জীবন ও ভবিষ্যৎ জড়িত। তাই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও বেশি সচেতনতা ও দায়িত্বশীল পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা আরও প্রকট হচ্ছে।

মানবিক সাহায্য কার্যক্রম যেন সঠিকভাবে পরিচালিত হয় এবং গাজার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা কমাতে পারে, সেজন্য ত্রাণ সংস্থাগুলোকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন।

No se encontraron comentarios


News Card Generator