close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

গাইবান্ধায় ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন হত্যা: জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুরে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও ক্রিকেটার আব্দুল্লাহ আল মামুন হত্যার ঘটনায় তোলপাড় চলছে। এ ঘটনায় সাদুল্লাপুর উপজেলা জামায়াত
গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুরে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও ক্রিকেটার আব্দুল্লাহ আল মামুন হত্যার ঘটনায় তোলপাড় চলছে। এ ঘটনায় সাদুল্লাপুর উপজেলা জামায়াতের নেতারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামি হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। জামায়াত নেতাদের দাবি, হত্যাকাণ্ডের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই, তবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের জড়ানো হচ্ছে। গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সাদুল্লাপুর উপজেলা জামায়াতের একটি সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। এই সংবাদ সম্মেলনে সাদুল্লাপুর জামায়াতের সেক্রেটারি মো. সিরাজুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘‘আমরা আব্দুল্লাহ আল মামুনের হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার দাবি করছি। তবে, এই হত্যা ঘটনার সাথে কোনোভাবে জামায়াতের নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততা নেই, অথচ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাদের নাম জড়ানো হয়েছে।’’ তিনি আরো বলেন, ‘‘জামায়াতে ইসলামীর সাদুল্লাপুর উপজেলা শাখার যুব বিভাগের সেক্রেটারি গোলাম রব্বানী রতন, ইউনিয়ন শাখার সেক্রেটারি সুজন মিয়া, শ্রমিক কল্যাণের সভাপতি রোস্তমসহ একাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এসব নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’’ জামায়াতে ইসলামীর সাদুল্লাপুর উপজেলা আমির এরশাদুল হক ইমন বলেন, ‘‘ইতোমধ্যে সিসিটিভি ফুটেজে হত্যার দৃশ্য দেখা গেছে, যেখানে অপরাধীরা মুখ ঢাকা অবস্থায় লাঠিসোঁটা নিয়ে উপস্থিত। এরপরও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জামায়াত নেতাদের নাম পোস্টারে ছাপানো হয়েছে। এ থেকে পরিষ্কার হয় যে, জামায়াতের বিরুদ্ধে একটি গভীর ষড়যন্ত্র চলেছে।’’ তিনি আরো বলেন, ‘‘যদিও অন্যান্য দলের আসামিরাও এই ঘটনায় যুক্ত, কিন্তু তাদের নাম পোস্টারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এটা প্রতিহিংসামূলক এবং জামায়াতকে নষ্ট করার উদ্দেশ্য নিয়ে করা হচ্ছে। আমরা দাবি জানাই, জামায়াত নেতাকর্মীদের দ্রুত এই ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তি দেওয়া হোক এবং প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হোক।’’ এদিকে, সাদুল্লাপুর থানার পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, তবে জামায়াত নেতাদের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা আশা প্রকাশ করেন যে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীরা বেরিয়ে আসবে এবং জামায়াত নেতাকর্মীরা নিষ্কলঙ্কভাবে মুক্তি পাবেন। এদিকে, এই ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়ে গেছে এবং এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। সাদুল্লাপুরে জামায়াত নেতাদের প্রতি এই ধরনের অভিযোগ ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা রাজনৈতিক উত্তেজনা ও বিভাজন সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এটি সবার কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা যে, অপরাধীকে কোনোভাবেই রক্ষা করা যাবে না, তবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ষড়যন্ত্রের পথ বন্ধ করতে হবে। জামায়াতের নেতারা অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
کوئی تبصرہ نہیں ملا


News Card Generator