close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ফ্রিতে নৌকা না পেয়ে অতিরিক্ত ডিআইজির মারধর! সিলেটজুড়ে তোলপাড়..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্রে বিনামূল্যে নৌকা না পাওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মচারীকে মারধর করেছেন সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নাসির উদ্দিন আহমদ। এ ঘটনায় সিলেটজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠ..

সিলেটের বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরে নৌকাভ্রমণ করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটিয়েছেন পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা। বিনামূল্যে নৌকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয়, উপজেলা ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক জাবেদ আহমদকে প্রকাশ্যে মারধর করেন অতিরিক্ত ডিআইজি নাসির উদ্দিন আহমদ।

ঘটনাটি ঘটে শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে। নৌকাঘাটের কর্মচারীরা জানান, ডিআইজি স্যার সিভিল পোশাকে এসে বিনামূল্যে নৌকা দাবি করেন। তখন কর্তব্যরত কর্মচারীরা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৮০০ টাকা পরিশোধের নিয়ম জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

ভুক্তভোগী জাবেদ আহমদ বলেন,
"আমি সরকারি নিয়ম বলার সাথে সাথেই তিনি রেগে গিয়ে আমাকে চড়-থাপ্পড় মারেন। তিনি বলেন, ‘তুই আমাকে চিনিস? আমি অ্যাডিশনাল ডিআইজি! আমি টাকা দিয়ে নৌকা নেব কেন?’"

ঘটনার সময় আশেপাশে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা হতবাক হয়ে যান। পুলিশ বাহিনীর একজন শীর্ষ কর্মকর্তার এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।


 ঘটনার পরপরই প্রতিবাদ, মাঝিদের নৌকা বন্ধ

এ ঘটনায় ঘাটের মাঝিরা ক্ষোভে নৌকা চালানো বন্ধ করে দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং ওসি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং সবাইকে আশ্বস্ত করেন।

স্থানীয় এক যুবক এমরান আহমদ বলেন,
"পুলিশ বাহিনীর একজন সর্বোচ্চ কর্মকর্তা হয়ে কীভাবে একজন সাধারণ কর্মচারীর ওপর হাত তোলেন? আমরা আতঙ্কিত এবং লজ্জিত। আমরা এ কর্মকর্তার শাস্তি চাই!"


 পুলিশ প্রশাসনের বক্তব্য কী?

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান এ বিষয়ে বলেন,
"এটি বড় কোনো ঘটনা নয়, ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।"

তবে উপজেলা সহকারী কমিশনার আবুল হাসনাত জানিয়েছেন,
"আমি ঘটনার বিস্তারিত জানি না, তবে ইউএনও স্যার গিয়েছিলেন। তিনি ভালো বলতে পারবেন।"

অন্যদিকে, অভিযুক্ত অতিরিক্ত ডিআইজি নাসির উদ্দিন আহমদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন বন্ধ রেখেছেন।


 এখন প্রশ্ন উঠছে:

🔹 একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আইন ভেঙে কি পার পেয়ে যাবেন?
🔹 একজন সাধারণ সরকারি কর্মচারীর নিরাপত্তা কোথায়?
🔹 এ ধরনের আচরণ পুলিশের ভাবমূর্তি কতটা ক্ষুণ্ণ করছে?

এ বিষয়ে সিলেটবাসী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন এ ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেয়!

कोई टिप्पणी नहीं मिली