সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয় চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলায় শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা ও উত্তেজনা।
জানা গেছে, কিছু ব্যক্তি ফেসবুকে “কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের দুর্নীতিবাজ আরএমও হোসেন ইমাম আর নেই” — এমন বিভ্রান্তিকর স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ডা. ইমাম কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় কয়েকজন যুবক তার ওপর চড়াও হয়ে ধাক্কা দিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
সম্প্রতি কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষা ঘিরে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল থেকে চাকরিপ্রত্যাশীরা কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে সাত ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে কুষ্টিয়ায় তদন্তে যায় দুদক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি টিম। তারা নিয়োগ সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনা করে এবং সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নেয়।
এ বিষয়ে ডা. হোসেন ইমাম বলেন, “নিয়োগ পরীক্ষায় ‘আরএমও কোটার’ নামে কিছু ব্যক্তি আমার কাছে প্রভাব খাটাতে চেয়েছিল। আমি স্পষ্টভাবে জানাই, এমন কোনো কোটা নেই। এরপর থেকেই তারা আমার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা শুরু করে। আজকে ফেসবুকে আমার মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হয়, তারপরই আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়।”
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন অফিস সম্প্রতি সাতটি পদে মোট ১১৫ জন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়। আবেদন গ্রহণ করা হয় ৪ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত, আর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত শুক্রবার (২৪ অক্টোবর)।
পরীক্ষার পর থেকেই নিয়োগে অস্বচ্ছতা ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শুরু করে চাকরিপ্রত্যাশীরা।
এ ঘটনায় কুষ্টিয়া জেলা সমন্বিত দুদকের পাঁচ সদস্যের একটি দল তদন্ত করছে বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে তদন্ত চলছে।
close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
ফেসবুকে মৃত্যুর স্ট্যাটাস, আরএমও লাঞ্ছিত — নিয়োগ অনিয়মের জেরে উত্তেজনা, তদন্তে দুদক..
Tidak ada komentar yang ditemukan



















