close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ফের সীমান্তে ভা রত-পাকি স্তান সেনাদের মধ্যে গো লা গু লি

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় আবারও ধ্বনিত হলো গুলির শব্দ—টানা ১১ রাত ধরে চলছে সীমান্ত উত্তেজনা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর অভিযোগ, একতরফা গুলিবর্ষণ চালাচ্ছে পাকিস্তান। পাল্টা জবাবও দিচ্ছে ভারত। কিন্তু আসল প্রশ্ন—..

কাশ্মীর সীমান্তে নিয়ন্ত্রণরেখা (Line of Control - LoC) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে আবারও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার, ৪ মে রাতের অন্ধকারে একাধিক সেক্টরে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলিবিনিময় হয়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও, সীমান্তের উত্তেজনা ফের নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টানা ১১ রাত ধরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সীমান্তে একতরফাভাবে গুলিবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। কাশ্মীরের কুপওয়ারা, পুঞ্চ, রাজৌরি, মেন্ধার, বারামুলা, নওশেরা, আখনুর এবং সুন্দরবনি সেক্টরে গুলি চালানো হয়েছে বলে জানানো হয়।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, পাকিস্তান বিনা উসকানিতে গুলি চালানো শুরু করে এবং এরপর ভারতীয় সেনাবাহিনী “উপযুক্ত জবাব” দেয়। প্রতিটি রাতে প্রায় একই ধরনের আচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে—রাত গভীর হলে সীমান্তের বিভিন্ন অংশে শুরু হয় গুলির শব্দ। এতে করে সীমান্তের নিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে পড়েছে।

পেছনের প্রেক্ষাপট—‘পেহেলগাম হামলা’:

এই চলমান উত্তেজনার সূচনা হয়েছিল কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক এক সন্ত্রাসী হামলার পর। ওই হামলার পর থেকেই ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করে সীমান্তে নিরাপত্তা আরও জোরদার করে। আর এরপর থেকেই শুরু হয় ধারাবাহিক গুলিবর্ষণের অভিযোগ।

ভারতের দাবি অনুযায়ী, এসব হামলার পেছনে পাকিস্তান সমর্থিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর ভূমিকা রয়েছে। যদিও এ বিষয়ে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাও পরিস্থিতি ঘোলাটে করছে:

সীমান্তের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই পাকিস্তান ‘আবদালি’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। ৪৫০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রমে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ‘সিন্ধু মহড়া’ নামের সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবে উৎক্ষেপণ করা হয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন সময়ে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা শুধু আঞ্চলিক উত্তেজনা নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিশেষ করে যখন দুই দেশই পরমাণু অস্ত্রে সজ্জিত।

ভারতের পাল্টা প্রস্তুতি:

এদিকে ভারতও বসে নেই। সীমান্ত প্রতিরক্ষা আরও জোরদার করতে দেশটি এখন মানববহনযোগ্য বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র (Man-Portable Air-Defense Systems - MANPADS) কেনার পরিকল্পনা করছে। ইতোমধ্যে দরপত্র আহ্বানও করেছে দেশটি, যার মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় দ্রুতগতিতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

Комментариев нет