close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ফের ক্ষে পণা স্ত্র ছু ড়ল ই রা ন, ভ য়ে বা ঙ্কা রে ইস রা য়ে লি রা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’ চালিয়ে ইরান প্রমাণ করল—উত্তেজনা এখন আর কূটনীতির পর্যায়ে নেই, এটা রণক্ষেত্র! বাঙ্কারে ঢুকেছে তেলআবিবের নাগরিকেরা, আর আকাশে উড়ছে ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপ..

মধ্যপ্রাচ্যে আবারো যুদ্ধাবস্থার ঘনঘটা। গতকাল বৃহস্পতিবার ইরান থেকে ছোড়া একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের আকাশে ধেয়ে আসে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বিষয়টি নিশ্চিত করে এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে তাৎক্ষণিকভাবে সতর্কবার্তা জারি করে।

বলা হয়, ইরানের দিক থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করা হয়েছে এবং ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিট পূর্ণ প্রস্তুতিতে রয়েছে। জনগণকে বাঙ্কারে অবস্থান করতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কেউ যেন খোলা জায়গায় না আসে, সেই বার্তা বারবার পুনরায় প্রচার করছে সেনাবাহিনী।

এ ঘটনার মাত্র এক সপ্তাহ আগেই, ১২ জুন রাতে, ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এক প্রচণ্ড সামরিক অভিযান চালায় ইসরায়েল। এ অভিযানে তেহরানসহ একাধিক শহরে পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র, সামরিক স্থাপনা এবং এমনকি আবাসিক এলাকাও হামলার শিকার হয়। সেই অভিযানে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা প্রাণ হারান।

মারাত্মক এই হামলায় নিহত হন ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, এবং জ্যেষ্ঠ কৌশলগত কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ।
এছাড়াও, ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ প্রায় কয়েকশ সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তি মারা যান।

এই আঘাতের পরপরই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রকাশ্যে বলেন— “খামেনিকে আর বাঁচতে দেওয়া যায় না।” এই বক্তব্যের পর থেকেই মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধাবস্থা গভীরতর হতে শুরু করে।

ইসরায়েলের আগ্রাসনের পাল্টা জবাবে গত শুক্রবার গভীর রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’ শুরু করে ইরান। এই অভিযানে ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চমকে দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও গোয়েন্দা স্থাপনায় সরাসরি আঘাত হানে।

ইরানের হামলায় সরাসরি হতাহতের সংখ্যা খুব বেশি না হলেও, ইসরায়েলের পরিকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক। তেলআবিব ও হাইফার মতো জনবহুল শহরগুলোর নাগরিকদের বহুজনকে নিরাপত্তার জন্য বাঙ্কারে চলে যেতে হয়। আতঙ্কে ঘরবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে লাখ লাখ মানুষ।

বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারছে না, সংঘাত কোথায় গড়াবে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এই উত্তেজনা বড় পরিসরের যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে—যা শুধু ইরান-ইসরায়েল নয়, বরং গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে দগ্ধ করে দিতে পারে।

জাতিসংঘের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হলেও, কোনো পক্ষই আপাতত পিছু হটতে রাজি নয়। ইসলামি জোটভুক্ত কয়েকটি দেশ প্রকাশ্যে ইরানের পাশে অবস্থান নিয়েছে, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ইসরায়েলকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে।

ইসরায়েল-ইরান সংঘাত আর শুধু কথার লড়াইয়ে সীমাবদ্ধ নেই। এটি এখন সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্রের সংঘর্ষে পরিণত হয়েছে। দুই দেশের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি যে কোনো সময় বিস্ফোরক মোড় নিতে পারে—আর সেটি গোটা বিশ্বের জন্য ভয়ঙ্কর বার্তা বহন করে।

कोई टिप्पणी नहीं मिली


News Card Generator