আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং এরপর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব শেষ করে বিদায় নেবে।
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে চলমান জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং এরপর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব পালন শেষে বিদায় নেবে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তার বক্তব্যে উঠে এসেছে সরকারের দৃঢ় অবস্থান ও নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, “নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের, কোনো দলের না। নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সরকার অত্যন্ত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সরকারের সব ধাপ ও পরিকল্পনা মাথায় রেখেই আমরা এগোচ্ছি। ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং আমরা ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব শেষ করব।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি রাজনৈতিক বক্তব্য নিয়েও মন্তব্য করেন। আসিফ নজরুল বলেন, “বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্যে নানা বক্তব্য দেয়। এটা আসলে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ারই অংশ। অতীতে যেমন ছিল, এখনো তেমনই চলছে। এতে বিশেষ কোনো গুণগত পরিবর্তন হয়নি। ফলে নির্বাচনের সময় কে কী বলছে, সেটা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার স্বাভাবিক ধাপ হিসেবেই দেখতে হবে।”
এছাড়া তিনি সরকারের অঙ্গীকার ও প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্ব নিয়েও কথা বলেন। আসিফ নজরুল বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমাদের স্যার, যিনি সর্বজন স্বীকৃত ও বিশ্বপর্যায়ে সম্মানিত একজন মানুষ, তিনি নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে। তার এই ঘোষণার বাইরে আসার কোনো প্রশ্নই আসে না। এ বিষয়ে পিছু হটার সামান্যতমও চিন্তা আমাদের নেই।”
তার এ বক্তব্য নির্বাচনী রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। কারণ এর আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচনকালীন সরকারের সময়কাল ও কাঠামো নিয়ে নানা ধরনের বক্তব্য দিয়েছে। তবে সরকারের এই পরিষ্কার ঘোষণা ভোটারদের মাঝে এক ধরনের স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দিয়েছে যে, আর কোনো বিলম্ব নয়—ফেব্রুয়ারিতেই ভোট হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সরকারের এই ঘোষণা নির্বাচনী উত্তেজনা ও বিতর্কের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তারা বলছেন, এর মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দৃঢ়তা প্রকাশ পেয়েছে।
ফলে এখন সবার নজর আসন্ন ফেব্রুয়ারির দিকে—যখন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি বড় পরিবর্তনের সূচনা হতে পারে।