close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ফেব্রুয়ারিতেই হবে জাতীয় নির্বাচন ,আমিনুল হক

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বিদেশি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বিএনপির আমিনুল হক বললেন—ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন হবে। জনগণের সরকার গড়তে তারেক রহমানের নেতৃত্বে লড়াই চলবে বলেও স্পষ্ট বার্তা দেন তিনি।..

আগামী ফেব্রুয়ারিতেই বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এমন স্পষ্ট বার্তা দিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনা ছড়িয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। তিনি অভিযোগ করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা এখনো বিদেশি শক্তি এবং পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসরদের সহযোগিতায় নির্বাচনী প্রক্রিয়া পেছাতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

রোববার (২৯ জুন) পল্লবী থানা ও রূপনগর থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সদস্য ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচির দুটি পৃথক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বক্তব্যের শুরুতেই আমিনুল হক জাতীয় নির্বাচন নিয়ে চলমান রাজনৈতিক চক্রান্তের বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, “নির্বাচন নিয়ে যত ষড়যন্ত্রই হোক না কেন, ইনশাআল্লাহ আগামী ফেব্রুয়ারিতেই অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা পাবে এবং বাংলাদেশ গড়বে একটি মানবিক রাষ্ট্র। এই মানবিক বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।”

বর্তমান সরকারকে স্বৈরাচার আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “গত ১৭ বছর ধরে এই দেশের জনগণ শুধু সত্য বলার অপরাধে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এই সময়ে সরকারের জনগণের প্রতি কোনো আস্থা ছিল না। বরং ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। দেশে কার্যত ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “বিএনপি সব সময় জনগণের মতামত ও চাহিদার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছে এবং আগামীতেও তাই হবে। আমরা দলে নতুন সদস্য সংগ্রহ করছি, তবে কোনোভাবেই আওয়ামী দোসরদের দলে স্থান দেওয়া হবে না। কেউ প্রবেশ করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা এমন সদস্য চাই, যারা সমাজে গ্রহণযোগ্য, সৎ ও আদর্শবান।”

বক্তব্যে আমিনুল হক মাদকবিরোধী অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “মাদক আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংস করছে। একটি একটি করে পরিবার শেষ হয়ে যাচ্ছে। যারা মাদক ব্যবসা ও সেবনের সঙ্গে যুক্ত আছেন, এখনই সতর্ক হয়ে যান। নইলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একটি সুস্থ, সচেতন ও মানবিক জাতি গড়তে হলে মাদককে রুখতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।”

পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কামাল হোসাইন খান এবং রূপনগর থানা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মসূচিগুলোতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর উত্তর বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত), গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিন, হাজী মুহাম্মদ ইউসুফ, মো. শাহ আলম এবং মহানগর সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার।

বক্তব্যে অংশগ্রহণকারীরা একযোগে আওয়ামী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করেন। একই সঙ্গে তারা দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকার আহ্বান জানান।

বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনী প্রস্তুতি এখন গতি পাচ্ছে বলেই ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তবে ক্ষমতাসীন দল এবং বিদেশি শক্তির সম্ভাব্য প্রভাব, জোট গঠনের হিসাব-নিকাশ—সব মিলিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন হতে চলেছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও উত্তেজনাপূর্ণ।

نظری یافت نشد