প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন জানিয়েছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন ঘোষণা দিয়েছেন যে, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
সিইসি বলেন, "আমরা ইতিমধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এখন মূল লক্ষ্য হলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন নিশ্চিত করা।" তিনি আরও জানান, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় জনগণের আস্থা ফেরানো এবং সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, ভোটকেন্দ্র প্রস্তুতি, কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ এবং নিরাপত্তা পরিকল্পনা—সবকিছুই ধাপে ধাপে এগিয়ে চলছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত ভোট গ্রহণ কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হবে।
এছাড়া, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর ওপরও জোর দেওয়া হবে। অনেক এলাকায় ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে যেসব এলাকায় প্রযুক্তিগত অবকাঠামো দুর্বল, সেখানে প্রচলিত ব্যালট পেপারেই ভোট হবে বলে জানা গেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট আয়োজন হলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যাবে। দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো ইতোমধ্যেই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এদিকে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার প্রস্তুতি নিতে মাঠে নেমেছে স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
ভোটগ্রহণের সঠিক তারিখ ও বিস্তারিত সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। সিইসি আশা প্রকাশ করেছেন যে, জনগণের অংশগ্রহণ ও গণতান্ত্রিক চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে এই নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।