close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

এস আলমের কাণ্ড: আছদগঞ্জের গোলসেন পার্ক ভবনের ৪ কোম্পানিতে আটকা ২ হাজার কোটি টাকা

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
গাজীপুরে উত্তেজনা চরমে! আতঙ্কে এলাকা ছাড়ছেন বাসিন্দারা গাজীপুর নগরের দাক্ষিণখান এলাকায় এক ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজা
গাজীপুরে উত্তেজনা চরমে! আতঙ্কে এলাকা ছাড়ছেন বাসিন্দারা গাজীপুর নগরের দাক্ষিণখান এলাকায় এক ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার ঘটনার পর পুরো এলাকায় নেমে এসেছে আতঙ্কের ছায়া। ঘরে ঘরে ঝুলছে তালা, রাস্তাঘাট ফাঁকা, মানুষের আনাগোনা নেই বললেই চলে। হামলার পর এলাকা যেন জনশূন্য শুক্রবার রাতে দাক্ষিণখান এলাকায় মোজাম্মেল হকের বাড়িতে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। এতে শিক্ষার্থীরা আহত হয় বলে জানা গেছে। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পুলিশি অভিযান ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে অনেকেই এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। শনিবার বিকেলে আক্কাস মার্কেট থেকে টঙ্গী-জয়দেবপুর সড়ক ধরে সামনের দিকে গেলে দেখা যায়, পুরো এলাকা একেবারে ফাঁকা। সাবেক মন্ত্রীর বাড়ির মূল ফটকে দুটি তালা ঝুলছে। আশপাশের প্রায় ৪০-৫০টি বাড়ির দরজায় তালা লাগানো। সড়কটিতে নেই কোনো যানবাহনের চলাচল, এমনকি পথচারীরাও নেই। "ডাকাত পড়েছে" বলে মাইকে ঘোষণা, মুহূর্তেই হামলা! স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে হঠাৎ করেই মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, মন্ত্রীর বাড়িতে ডাকাত পড়েছে! এরপর এলাকাবাসী দলে দলে গিয়ে সেখানে হামলা চালায়। তবে পরবর্তীতে জানা যায়, হামলাটি পরিকল্পিত ছিল এবং তাতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। স্থানীয় ষাটোর্ধ্ব কুলসুম বেগম জানান, "এশার নামাজের পর হঠাৎ করে প্রচণ্ড আওয়াজ পাই। মসজিদের মাইক থেকে ডাকাত পড়ার ঘোষণা আসার পর সবাই গিয়ে হামলা চালায়। পরে শুনলাম, সেখানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে। এরপর থেকেই আতঙ্কে সবাই এলাকা ছেড়েছে। আমরাও গেট বন্ধ করে বসে আছি।" মসজিদে তালা, নামাজ পড়তেও ভয় পাচ্ছেন মানুষ অন্য এক বাসিন্দা জানান, ঘটনার রাতেই মসজিদে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে সেখানে কেউ নামাজ পড়তেও যাচ্ছেন না। এলাকা যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। "শ্মশানের মতো নীরবতা" – স্থানীয়দের অভিব্যক্তি স্থানীয় আফিয়া বেগম বলেন, "প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত রাস্তায় মানুষ হাঁটে, বাচ্চারা খেলাধুলা করে। কিন্তু আজকে যেন সবকিছু থমকে গেছে। চারপাশে এতটাই নিরবতা যে মনে হচ্ছে, এখানে কেউ থাকে না। পুরো এলাকা শ্মশানের মতো ফাঁকা হয়ে গেছে।" পুলিশি অভিযান, গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা ছাড়ছে মানুষ হামলার পরপরই পুলিশ ব্যাপক অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে। এতে আতঙ্ক আরও বেড়ে যায়। স্থানীয়দের অনেকেই ভয়ে আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। কী ঘটেছিল সেদিন রাতে? প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার দিন রাতে আকস্মিকভাবে হামলা চালানো হয়। শিক্ষার্থীরা এতে আহত হয় এবং আতঙ্কে পালাতে থাকে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকাবাসী তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে? এলাকায় এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ চলছে। তবে স্থানীয়দের আশঙ্কা, আরও অভিযান চালানো হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। এই ঘটনার পর গাজীপুরের দাক্ষিণখান এলাকা এখন কার্যত এক ভূতুড়ে শহরে পরিণত হয়েছে। মানুষ তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত, আর এই পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান না হলে আতঙ্ক আরও বাড়বে।
コメントがありません