close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

এনসিপির পদযাত্রায় আ. লীগের লোকজন সামনের সারিতে ছিল : কেয়া

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Kayea, a key voice in the anti-discrimination student movement in Muradnagar, has resigned from NCP, citing betrayal of the movement as Awami League supporters led the rally.

কুমিল্লার মুরাদনগরের আন্দোলনকর্মী কেয়া এনসিপি ছেড়ে দিলেন। বললেন, যাদের বিরুদ্ধে লড়েছি, তারাই এখন নেতৃত্বে—এটা শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি।

কুমিল্লার মুরাদনগরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিচিত মুখ খাদিজা আক্তার কেয়া হঠাৎ করেই এনসিপি (ন্যাশনাল চেঞ্জ প্ল্যাটফর্ম) থেকে পদত্যাগ করেছেন। তাঁর এ ঘোষণাটি গতকাল শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে প্রকাশ করেন তিনি। এরপর আজ রবিবার (২৭ জুলাই) সকালে পোস্টটি ব্যাপকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা পুরো জেলায় আলোচনার ঝড় তোলে।

খাদিজা আক্তার কেয়া কালের কণ্ঠকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, “গত ২৩ জুলাই কুমিল্লা টাউনহল মাঠে এনসিপির একটি পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সামনে সারিতে ছিল আওয়ামী লীগের পতিত লোকজন—যারা আমাদের এই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে একসময় বাধা দিয়েছিল। শহীদদের সঙ্গে এ একধরনের বেইমানি ছাড়া কিছু না। আমি এর অংশ হতে পারি না।”

তিনি আরও বলেন, “আমি গতকাল বিকেলে পদত্যাগের ঘোষণা ফেসবুকে দিয়েছি। আজ রবিবার বিকেলে একটি প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানাব এবং স্থানীয় নেতাদের কাছে লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দেব।”

ফেসবুক পোস্টে কেয়া লেখেন, “আমি একটা বিষয় স্পষ্টভাবে বুঝে গেছি—যার জন্য লড়লাম, সেই আজ আমাকেই দোষারোপ করছে। যার জন্য যুদ্ধ করেছি, সেই বলছে আমি শত্রু। আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন কর্মী ছিলাম, কিন্তু আজকের পর থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।”

তিনি উল্লেখ করেন, “আমরা মুরাদনগর থেকে একটি গণ-অভ্যুত্থানের পরে এই প্ল্যাটফর্মে এসেছিলাম। যে অভ্যুত্থানে আমাদের হাজারো ভাইবোন শহীদ হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা যায় না। তাই আমি স্বেচ্ছায় এই রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ালাম।”

তবে তিনি রাজনীতি পুরোপুরি ছাড়ছেন না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। কেয়া লেখেন, “আমি কোনো দলের হয়ে কাজ করি না, আমি কোনো ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতি করি না। কিন্তু দেশের স্বার্থে, মানুষের অধিকার রক্ষায় আমি সবসময় লড়াই করে যাব। দেশের সংস্কারের পক্ষে আমায় সবসময় পাশে পাবেন, ইনশাআল্লাহ।”

কেয়ার পদত্যাগের ঘটনায় স্থানীয় পর্যায়ে এনসিপির অভ্যন্তরীণ সংকট, আদর্শ থেকে বিচ্যুতি এবং নেতৃত্বের প্রশ্নে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই বলছেন, সংগঠনের আদর্শিক কাঠামো থেকে সরে এসে সুবিধাভোগী মহলকে কাছে টানার কারণে মাঠপর্যায়ের ত্যাগী নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়ছেন।

কেয়ার পদত্যাগ শুধু একটি সংগঠন ত্যাগ নয়—এটি যেন আন্দোলনের ভেতরের দ্বন্দ্ব, ত্যাগী ও ভোগীদের সংঘাত এবং একটি আদর্শিক প্রশ্নচিহ্নের বহিঃপ্রকাশ।

कोई टिप्पणी नहीं मिली