close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

এনসিপি থেকে পদত্যাগ করায় মারধরের শিকার মোহাম্মদ উল্লাহ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
In Nandail, Mymensingh, former NCP leader Mohammad Ullah was assaulted after resigning from the party. Other resigned leaders are now living in fear.

 ময়মনসিংহের নান্দাইলে এনসিপি থেকে পদত্যাগ করা সাবেক নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ মারধরের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন আরও তিনজন পদত্যাগকারী নেতা।

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগের পর হামলার শিকার হয়েছেন দলের এক সাবেক সদস্য। বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল সোয়া ১১টার দিকে খুররম খান চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ থেকে বের হওয়ার সময় মোহাম্মদ উল্লাহ নামের ওই সাবেক নেতা কিলঘুষি ও হামলার শিকার হন বলে অভিযোগ উঠেছে।

হামলার শিকার মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, তিনি ওই কলেজে এইচএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিলেন। পরীক্ষা শেষে বের হওয়ার সময় কয়েকজন যুবক তাঁকে ঘিরে ফেলে। মুহূর্তের মধ্যে কিলঘুষি মেরে আহত করা হয় তাঁকে। হামলার সময় তিনি কয়েকজনকে চিনতে পেরেছেন বলেও দাবি করেন। তাঁর অভিযোগ, সাম্প্রতিক পদত্যাগের ঘটনাই এই হামলার মূল কারণ।

তিনি আরও জানান, ঘটনাটি ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তারকে ফোনে বিষয়টি অবহিত করেছেন। পাশাপাশি হামলার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

শুধু মোহাম্মদ উল্লাহ নন, পদত্যাগকারী অন্য নেতারাও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এনসিপি থেকে পদত্যাগকারী শেখ সাদী জানান, তাঁকেও বিভিন্ন অজ্ঞাত পরিচয় থেকে ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি তাঁকে “ডিম থেরাপি” দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। এতে তিনি এবং আরও দুই পদত্যাগকারী নেতা গভীর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

গত ২৫ আগস্ট এনসিপির নীতি ও আদর্শ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে মোহাম্মদ উল্লাহ, শেখ সাদী, আশেক আলী মণ্ডল ও কাওসার আহমেদ জিসান—এই চারজন একসাথে পদত্যাগ করেন। তবে এনসিপির নান্দাইল শাখার প্রধান সমন্বয়ক মো. ফাইজুল ইসলাম জানিয়েছেন, তাঁর কাছে এখনো কোনো পদত্যাগপত্র জমা পড়েনি। তিনি শুধু ফেসবুকে বিষয়টি দেখেছেন।

হামলার প্রসঙ্গে ফাইজুল ইসলাম জানান, মোহাম্মদ উল্লাহর ওপর হামলার বিষয়েও তিনি কিছু জানেন না। এদিকে এনসিপির জেলা কমিটির সদস্য সুফি আবদুল্লাহ একই সুরে বলেন, তাঁরা কারও কাছ থেকে অভিযোগ পাননি। বরং ফেসবুকেই প্রথম হামলার খবর দেখেছেন।

ঘটনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার বলেন, তিনি মারধরের বিষয়টি জানতে পেরে পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন ঘটনাটি খতিয়ে দেখার জন্য। তবে হামলার সঙ্গে কারা জড়িত, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এনসিপি থেকে পদত্যাগের পর সাবেক নেতাদের বিরুদ্ধে এই হামলার ঘটনা এলাকায় তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সাধারণ মানুষ বলছে, রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নিরাপত্তাহীনতার শিকার হতে হয়, তবে এটি গণতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য অত্যন্ত নেতিবাচক সংকেত।

বর্তমানে নান্দাইলের চার সাবেক এনসিপি নেতা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাঁরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করেছেন। এদিকে হামলার ঘটনার সত্যতা ও দায়ীদের চিহ্নিত করতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তদন্ত শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

نظری یافت نشد