close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

একসাথে ৬০০ ক্ষেপ ণা স্ত্র ছু ড়বে ইরান? সরাসরি হুঁ শি য়ারি ইস রায়েল ও যু ক্তরাষ্ট্র কে..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্য যেন নতুন যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে। ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডারের মুখে এবার সরাসরি হুমকি—প্রয়োজনে একযোগে ছোড়া হবে ৬০০ ক্ষেপণাস্ত্র, লক্ষ্য ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি। এই ঘোষণায় কাঁপছে কূট..

মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা: ইরানের সরাসরি হুমকি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে

মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এক ভয়াবহ মোড় নিচ্ছে। সোমবার (১৩ মে) ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর প্রভাবশালী কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি প্রকাশ্য টেলিভিশন ভাষণে এমন এক হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যা শুধু অঞ্চল নয়, পুরো বিশ্ব কূটনীতিতে আলোড়ন তুলেছে। তিনি বলেছেন, প্রয়োজন হলে ইরান একসাথে ৬০০ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে প্রস্তুত—যার লক্ষ্য হবে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিগুলো।

সালামি প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, “আমরা যদি একযোগে ৬০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে দিই—শত্রুরা তা সহ্য করতে পারবে কি?” তাঁর এই মন্তব্য স্পষ্টতই ইরানের সামরিক আত্মবিশ্বাস এবং আগ্রাসী কৌশলের ইঙ্গিত দেয়।

‍ইরানের আত্মবিশ্বাস: শত্রুরা এখন ভয় পাচ্ছে?

সালামি আরও বলেন, “আজকের ইরান অতীতের চেয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ও শক্তিশালী। আমাদের শত্রুরা এখনও বুঝে উঠতে পারেনি তাদের হুমকির বাস্তব পরিণতি কী হতে পারে।” তিনি দাবি করেন, এমনকি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও আজারবাইজানে যেতে ভয় পাচ্ছেন, কারণ ইরানের প্রভাব শুধু সীমান্তে নয়, কৌশলগত জোট ও অঞ্চলের রাজনীতিতেও ছড়িয়ে পড়েছে।

তিনি আরও যোগ করেন, “আজ যুদ্ধ মানে শুধু ট্যাঙ্ক, বিমান বা গোলাবারুদ নয়—এটি একটি মিডিয়া, সংস্কৃতি ও আদর্শের লড়াই। গাজার প্রতিরোধ আমাদের চোখে দেখিয়ে দিয়েছে, শক্তিই সব নয়—সঙ্কল্পও যুদ্ধ জয়ের প্রধান উপাদান।”

‍যুক্তরাষ্ট্রের পিছু হটা এবং সামরিক দুর্বলতা?

সালামির ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অবস্থানও কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরীগুলো এখন সরাসরি সংঘাতে নামছে না—বরং একতরফা যুদ্ধবিরতির কৌশল নিচ্ছে। এটি তাদের কৌশলগত পিছু হটার স্পষ্ট প্রমাণ।”

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তার দাবি, “আমরা দেখছি, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীতে চাপ বাড়ছে। বিমান দুর্ঘটনার হার বেড়েছে। এসব হচ্ছে তাদের সামরিক দুর্বলতার প্রতিফলন।”

‍ইয়েমেন, গাজা ও অঞ্চলজুড়ে বিস্তারমান সংঘাত

হোসেইন সালামি সরাসরি আঙুল তুলেছেন ইয়েমেন পরিস্থিতির দিকেও। হুথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধ এখানেও ইরানের কৌশলের অংশ হয়ে উঠেছে। সালামি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রকে এখন আর আগের মতো আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে না, বরং তারা প্রতিরক্ষা ও কূটনৈতিক অবস্থানে নেমে এসেছে।

এই অবস্থায় অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, ইরানের এই স্পষ্ট হুমকি শুধু সামরিক নয়, এটি এক ধরনের কূটনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক চাপে ফেলার কৌশলও হতে পারে। বিশেষ করে গাজা, লেবানন ও ইয়েমেনের চলমান পরিস্থিতিতে ইরান নিজের অবস্থানকে ‘প্রতিরোধ ফ্রন্ট’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে।

‍বিশ্বের প্রতিক্রিয়া কী?

এই ভাষণের পর আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি, তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, পরিস্থিতি অল্প সময়ের মধ্যেই আরও জটিল হতে পারে।

আঞ্চলিক সংঘাত যদি এই পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, ইরান সত্যিই ৬০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে—তবে তা হবে ২০২০-এর দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক সংঘাত।

No comments found