close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

এক সপ্তাহেই গাজা যুদ্ধবিরতির আশায় ট্রাম্প, আলোচনায় বাধা নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক চাল..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Donald Trump expects a Gaza ceasefire deal within a week, but Netanyahu is allegedly stalling talks for political reasons. Mediation sources blame internal Israeli politics for the delay.

ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সপ্তাহের মধ্যে গাজা যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা দেখছেন, কিন্তু নেতানিয়াহু ইচ্ছাকৃতভাবে আলোচনা পিছিয়ে দিচ্ছেন বলে দাবি করছে মধ্যস্থতাকারী সূত্র। রাজনৈতিক সমীকরণেই আটকে যাচ্ছে মানবিক সমাধান।

গাজায় চলমান সংঘর্ষের অবসান ও জিম্মিদের মুক্তির লক্ষ্যে আলোচনার নতুন আশার কথা জানালেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যেই যুদ্ধবিরতি ও চুক্তির বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যেতে পারে। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর আচরণ ঘিরে প্রশ্ন তুলেছে মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক মহল। অভিযোগ উঠেছে, নেতানিয়াহু ইচ্ছাকৃতভাবে আলোচনা পিছিয়ে দিচ্ছেন তার রাজনৈতিক স্বার্থে।

সূত্র জানায়, গত সপ্তাহেই মার্কিন ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী বক্তব্য দিলেও গাজা থেকে ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহারের শর্তেই মূল আলোচনা থেমে রয়েছে। চারদিনের বেশি সময় ধরে এই পয়েন্টেই আটকে রয়েছে পুরো প্রক্রিয়া। একজন আরব কূটনীতিক টাইমস অফ ইসরায়েলকে জানান, নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক কৌশল আলোচনাকে ঘোলাটে করে তুলছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে দু'দফা বৈঠক করেছেন নেতানিয়াহু। সেখানে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, গাজা থেকে হামাসের সামরিক ও বেসামরিক প্রভাব সম্পূর্ণ বিলুপ্ত না হলে যুদ্ধ শেষ হতে পারে না। তাঁর মতে, গাজা যদি পুনরায় ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে ওঠে, তাহলে যুদ্ধের মূল উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে।

অন্যদিকে, মধ্যস্থতাকারীরা বলছেন, ইসরায়েলের বর্তমান নেসেট (সংসদ) অধিবেশন চলবে ২৭ জুলাই থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে যদি বড় কোনো রাজনৈতিক পরিবর্তন না ঘটে, তবে সংসদ ভেঙে দেওয়া কঠিন হবে। তাই এই সময়ের মধ্যেই নেতানিয়াহু আলোচনায় অগ্রগতি চান না বলে অভিযোগ উঠেছে। মূলত, নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতেই তিনি চুক্তিতে বিলম্ব করছেন বলে ধারণা অনেকের।

নেতানিয়াহুর জোট সরকারে থাকা অতি-ডানপন্থী নেতারা জোর দিয়ে বলেছেন, গাজার দায়িত্বে হামাস থাকলে কোনোভাবেই যুদ্ধবিরতি মেনে নেওয়া যাবে না। ফলে এই রাজনৈতিক চাপের মধ্যে পড়ে নেতানিয়াহু হয়তো আলোচনার গতি ইচ্ছাকৃতভাবে কমিয়ে দিয়েছেন। কারণ যুদ্ধ চলা অবস্থায়ই তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কিছুটা নিরাপদ।

মধ্যস্থতা সংশ্লিষ্ট কূটনীতিকদের মতে, পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন না হলে মানবিক সংকট আরও তীব্র হতে পারে। বিশ্ব সম্প্রদায় যখন যুদ্ধবিরতির প্রত্যাশায় তাকিয়ে আছে, তখন একেকটি রাজনৈতিক কৌশল সে প্রত্যাশাকে প্রতিনিয়ত দুরূহ করে তুলছে।

Keine Kommentare gefunden