close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

এবার পাকিস্তানের হাতে জে-৩৫ পর বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পিএল-১৭..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
চীনের সর্বাধুনিক PL-17 ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের হাতে পৌঁছানোর খবরে কাঁপছে দক্ষিণ এশিয়ার সামরিক ভারসাম্য। ভারতীয় রাফাল ও সুখোইয়ের জন্য এটি হতে পারে ভয়াবহ বার্তা।..

পাকিস্তানের হাতে PL-17: দক্ষিণ এশিয়ার আকাশযুদ্ধে ভারসাম্য ভাঙার দ্বারপ্রান্তে?

দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক ও সামরিক মেরুকরণ নতুন এক মোড় নিতে চলেছে। পাকিস্তান এবার পাচ্ছে চীনের তৈরি সর্বাধুনিক ও সুদূরপাল্লার PL-17 ক্ষেপণাস্ত্র, যা দক্ষিণ এশিয়ার আকাশযুদ্ধে একটি ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। ইতিমধ্যেই PL-15E ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ভারতের রাফাল, সুখোই এবং মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমানকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জে ফেলেছে পাকিস্তান বিমান বাহিনী। এবার PL-17 ক্ষেপণাস্ত্রের সংযোজন এই অঞ্চলের কৌশলগত ভারসাম্যকে আরও অস্থির করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

PL-15E এর সফল প্রয়োগ: নতুন উৎকণ্ঠার সূচনা

বহুল আলোচিত PL-15E ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের হাতে আসার পর থেকেই ভারতের মধ্যে উদ্বেগ শুরু হয়। ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে এসব ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার না করলেও, বিভিন্ন সামরিক বিশ্লেষক এবং বিমান বাহিনীর অভ্যন্তরীণ সূত্রের বরাতে জানা যায় যে, ভারতীয় রাফাল ও সুখোই ফ্লিট বেশ কিছু সংঘর্ষে বড় রকমের চাপে পড়ে। তবে সামরিক শিষ্টাচার বজায় রেখে ভারত এই ইস্যুতে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে।

এই পরিস্থিতিতেই এবার সামনে এলো PL-17, যা আগের ক্ষেপণাস্ত্রটির চেয়েও অনেক বেশি বিধ্বংসী, প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত এবং ভয়ানক পরিণতির বার্তা বয়ে আনছে।

PL-17: ৪০০ কিমি পাল্লার বিপজ্জনক প্রতিপক্ষ

PL-17 একটি অত্যাধুনিক লং রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল, যার সর্বোচ্চ পাল্লা ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। অর্থাৎ, শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান আকাশে উড়তেই না উড়তেই দূর থেকেই তাকে টার্গেট করে ধ্বংস করা সম্ভব হবে। শুধু যুদ্ধবিমান নয়, এটি টার্গেট করতে সক্ষম AWACS (এয়ারবোর্ন ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম), ট্যাংকার, নজরদারি বিমান এবং অন্যান্য কৌশলগত প্ল্যাটফর্মগুলোকে, যা যুদ্ধক্ষেত্রে বড় ধরনের কৌশলগত সুবিধা দেয়।

এই মিসাইলটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে উচ্চ প্রযুক্তির জ্যামিং প্রতিরোধ করতে সক্ষম গাইডেন্স সিস্টেম নিয়ে। এতে ব্যবহৃত হয়েছে—

  • ইনার্শিয়াল ন্যাভিগেশন সিস্টেম (INS),

  • জিপিএস নির্ভর গাইডেন্স সিস্টেম,

  • Active AESA রাডার-ভিত্তিক টার্গেটিং সিস্টেম,

  • এবং উন্নত ডেটালিংক কানেকশন।

এই প্রযুক্তির সংমিশ্রণে PL-17 শত্রুপক্ষের ইলেকট্রনিক কাউন্টার-মেজারকে সফলভাবে পাশ কাটিয়ে সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।

পাকিস্তানের এয়ারক্রাফটে PL-17 এর ব্যবহার

চীনের ফিফথ জেনারেশন স্টেলথ ফাইটার জে-২০ ইতিমধ্যেই PL-17 মিসাইল সজ্জিত করে সফলভাবে ব্যবহার করেছে। এখন ধারণা করা হচ্ছে, পাকিস্তান তাদের ‘জেনসি’ যুদ্ধবিমান কিংবা উন্নত জেএফ-১৭ ব্লক-থ্রি (JF-17 Block III) প্ল্যাটফর্মে PL-17 যুক্ত করবে। এই প্ল্যাটফর্মটি ইলেকট্রনিক ওভরহলিং, AESA রাডার এবং বহুমাত্রিক যুদ্ধ সক্ষমতা দিয়ে সজ্জিত।

ভারতের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ

ভারতের জন্য PL-17 সরাসরি হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ, এখন পর্যন্ত ভারতের হাতে থাকা সবচেয়ে উন্নত এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল হলো Meteor, যার কার্যক্ষমতা প্রমাণিত হলেও পাল্লা PL-17 এর চেয়ে কিছুটা কম। PL-17 এর বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হলে ভারতকে নিজেদের এয়ার ডিফেন্স ও ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারে ব্যাপক আধুনিকায়ন করতে হবে।

ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, এটি শুধু একটি মিসাইল নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য এক ধরনের ঘোষণা।

 

পাকিস্তানের হাতে PL-17 আসার অর্থ, দক্ষিণ এশিয়ার আকাশযুদ্ধে এক নতুন যুগের সূচনা। এটি শুধু পাকিস্তানের ক্ষমতা বৃদ্ধি করছে না, বরং এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ভারসাম্যকেও নাড়া দিচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে এই ক্ষেপণাস্ত্রের অপারেশনাল ব্যবহার কেমন হয় এবং ভারতের প্রতিক্রিয়া কী হয়, সেটাই নির্ধারণ করবে দক্ষিণ এশিয়ার আকাশ কতটা নিরাপদ বা বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।

Hiçbir yorum bulunamadı