close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

এবার নে/তানি/য়া/হুর বাড়ি লক্ষ্য করে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হা/ম/লা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ব্যক্তিগত বাসভবনের দিকে ইরানের সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করছে একাধিক মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম। এই হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধ..

তেহরান ও তেলআবিবের সম্পর্ক বরাবরই উত্তপ্ত। তবে এবার যা ঘটলো, তা মধ্যপ্রাচ্যকে নতুন করে রক্তাক্ত সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে পারে।
গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইরানের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়, যার মধ্যে অন্তত একটি লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ব্যক্তিগত বাসভবন।

ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র দাবি করেছে, ‘এই হামলা ছিল প্রতিশোধমূলক এবং রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।’
হামলার পরপরই ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিবের আকাশে যুদ্ধবিমান ও সাইরেনের শব্দ ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে বিস্ফোরণের ভিডিও, যেগুলো থেকে স্পষ্ট—হামলা ছিল অত্যন্ত পরিকল্পিত ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে পরিচালিত।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) জানিয়েছে, “আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। তবে একটি ক্ষেপণাস্ত্র নেতানিয়াহুর বাসভবনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় আঘাত হানে, যার ফলে বেশ কিছু জানালার কাঁচ ভেঙে যায় এবং একজন নিরাপত্তাকর্মী আহত হন।

 

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলার পেছনে রয়েছে সম্প্রতি ইসরায়েলের একটি বিমান হানায় সিরিয়ায় ইরানপন্থী মিলিশিয়া নেতার নিহত হওয়া। ওই হামলার পর থেকেই ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি কড়া প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।

মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ ড. সামির হুসেইন বলেন, “ইরান এবার সরাসরি ইসরায়েলি নেতৃত্বের ঘাড়ে নিশানা বসিয়েছে, যেটা অতীতে দেখা যায়নি। এটি কেবল রাজনৈতিক প্রতিশোধ নয়, বরং ইসরায়েলকেও বার্তা দেওয়া— ‘আমরাও তোমাদের গৃহের চৌহদ্দি ছুঁতে পারি’।

 

আমেরিকা, ফ্রান্স ও জার্মানির তরফে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, “আমরা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি আমাদের অঙ্গীকার অটুট।
জাতিসংঘ ইতিমধ্যেই বৈঠক ডেকেছে এবং পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ দিকে না যায়, সে বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

 

ইসরায়েলি মিডিয়ার দাবি, এই হামলা ‘যুদ্ধ ঘোষণা’র সমান।
নেতানিয়াহু নিজে সরাসরি একটি জরুরি বার্তা দিয়েছেন—
“যারা আমাদের ঘরে হামলা চালাবে, আমরা তাদের নগর ধ্বংস করে দেব।”
ইসরায়েল ইতোমধ্যে সিরিয়া সীমান্ত ও গাজা উপত্যকায় সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে। একই সঙ্গে আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।

 

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই উত্তেজনা যদি নিয়ন্ত্রণ না করা যায়, তবে পুরো মধ্যপ্রাচ্য আবারও ভয়াবহ যুদ্ধের দিকে ধাবিত হতে পারে।
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি সংঘাত মানেই তুরস্ক, সৌদি আরব, কাতার, এমনকি রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ জড়িত হওয়া।

 

ইরান যদি সত্যিই নেতানিয়াহুর বাড়িকে লক্ষ্য করে হামলা করে থাকে, তবে এটি একটি নতুন ইতিহাসের সূচনা। ইসরায়েলের জন্য এটি শুধু একটি সামরিক হুমকি নয়, বরং রাজনৈতিকভাবে চরম বিব্রতকরও বটে।
আগামী ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক মানচিত্র পরিবর্তনের দিকে যেতে পারে। সবকিছু এখন নির্ভর করছে দুই দেশের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর।

Không có bình luận nào được tìm thấy