close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

এবার ‘ক্লাস্টার বো মা’ বহনকারী ক্ষে প ণা স্ত্র ছু ড়েছে ই রা ন!: দাবি ই স রা ই লের..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসরাইলের দাবি, ইরান এবার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে ক্লাস্টার বোমার মতো ভয়ংকর ওয়ারহেড ব্যবহার করেছে। আকাশে বিস্ফোরিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে একাধিক ছোট বোমা—যা বিস্তীর্ণ এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে। এ..

তেহরান-তেলআবিব উত্তেজনার নতুন মাত্রা: আকাশে ছিটকে পড়লো ক্লাস্টার বোমা!

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা নতুন এক মোড় নিয়েছে। ইসরাইল দাবি করেছে, ইরান বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, তার মধ্যে ছিল ভয়াবহ ক্লাস্টার বোমা ওয়ারহেড।
এই ধরনের বোমা সাধারণত বিস্তীর্ণ এলাকায় ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে ব্যবহৃত হয়, যা যুদ্ধের রণনীতিতে বিপর্যয়কর ফল বয়ে আনে।

ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্স (IDF)-এর হোম ফ্রন্ট কমান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের ছোড়া ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি আকাশে প্রায় ৭ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছার পর একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় পৌঁছে তার ওয়ারহেড বিভক্ত হয়ে যায়। এরপর প্রায় ২০টি ছোট গোলা ছড়িয়ে পড়ে প্রায় ৮ কিলোমিটার ব্যাসার্ধজুড়ে।

এই ছোট ছোট বোমাগুলোর নিজস্ব কোনো নিয়ন্ত্রণক্ষমতা নেই। তবে এগুলো মাটিতে পড়ামাত্রই বিস্ফোরণের উদ্দেশ্যে তৈরি। ফলে এগুলো কার্যত মাটির সঙ্গে সংস্পর্শে এসেই বিস্ফোরিত হয়, যার কারণে সাধারণ মানুষের জন্য চরম হুমকি হয়ে ওঠে।

ইসরাইলি সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধরনের ক্লাস্টার ওয়ারহেড ইরানের অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির চেয়েও ভয়ংকর। কারণ এটি একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু নয়, বরং বিস্তৃত একটি এলাকা লক্ষ্য করে আঘাত হানে। তারা এটিকে চলমান সংঘাতে ‘বিপজ্জনক মোড়’ বলেও অভিহিত করেছেন।

একটি ছোট গোলা ইসরাইলের আজোর শহরের একটি আবাসিক ভবনে আঘাত হানে। এতে বাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং একটি ছোট রকেট বিস্ফোরণের সমপরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি সৃষ্টি করে।
ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রায় ২.৫ কেজি বিস্ফোরক ছিল প্রতিটি ছোট গোলার মধ্যে।

তবে সব বোমাই বিস্ফোরিত হয়নি। বেশ কিছু বোমা এখনো অবিস্ফোরিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এতে জনসাধারণের মাঝে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। হোম ফ্রন্ট কমান্ড জানিয়েছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ২০টি অবিস্ফোরিত বোমা উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

‘ল্যান্ডমাইনের মতো বিপজ্জনক’—সতর্কতা জারিইসরাইলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যেসব বোমা এখনো বিস্ফোরিত হয়নি, সেগুলো কার্যত ল্যান্ডমাইনের মতো কাজ করছে। তাই সাধারণ জনগণকে সর্তক করা হয়েছে, যেন কেউ এই ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষের কাছাকাছি না যায়।

যদি কেউ এই ধ্বংসাবশেষ দেখতে পান, তাহলে দ্রুতই কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলা হয়েছে। কারণ একটি ভুল পদক্ষেপেই ঘটে যেতে পারে প্রাণঘাতী বিস্ফোরণ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের এই নতুন ধরনের হামলা কৌশল আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের চোখে নতুন এক আতঙ্ক তৈরি করেছে। ক্লাস্টার বোমা দীর্ঘদিন ধরেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য বিতর্কিত। অনেক দেশ এ ধরনের অস্ত্র নিষিদ্ধ করেছে। ইরানের এই কৌশল যুদ্ধের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে।

ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতে ‘ক্লাস্টার বোমা’ ব্যবহার যুদ্ধের নীতি ও মানবিকতার এক ভয়াবহ নতুন সংকেত। এটি শুধু যুদ্ধক্ষেত্র নয়, জনবহুল এলাকাতেও ছড়িয়ে দিচ্ছে বিপদের বার্তা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত—এই অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে তৎপর হওয়া, না হলে সামনে আরও ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।

Nenhum comentário encontrado