জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গণঅধিকার পরিষদ আসছে সপ্তাহেই আরও ১০০ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৩৬ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করে দিয়েছে দলটি।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা তুঙ্গে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট আয়োজনের কথা জানিয়েছে সরকার। এ সময়সূচি ধরে নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুতি নিতে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে নির্বাচনী প্রস্তুতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। প্রার্থী চূড়ান্ত ও প্রচারণার পরিকল্পনা নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক দলের তৎপরতা চোখে পড়ছে। এর মধ্যে প্রার্থী ঘোষণায় এগিয়ে আছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী—যারা ইতিমধ্যে সর্বাধিক আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
শুধু জামায়াতই নয়, অন্যান্য কয়েকটি ইসলামী রাজনৈতিক দলও নিজেদের কিছু আসনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা সম্পন্ন করেছে। এর বাইরেও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যোগ দিচ্ছে নতুন ও উদীয়মান রাজনৈতিক শক্তিগুলো।
গত ২৪ জুলাই ৩৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় আসে গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি)। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি সপ্তাহে আরও ১০০ আসনে প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হবে, যা দলটির নির্বাচনী কার্যক্রমকে নতুন মাত্রা দেবে।
শনিবার বিকেলে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি লিখেছেন—
“এ সপ্তাহেই ঘোষণা করা হবে গণ অধিকার পরিষদের আরো ১০০ প্রার্থীর নাম। রাষ্ট্র পুনর্গঠনে অংশ নিন, গণ অধিকার পরিষদে যোগ দিন।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নুরুল হক নুরের এই ঘোষণার মাধ্যমে গণঅধিকার পরিষদ তাদের নির্বাচনী অবস্থানকে আরও দৃঢ় করছে। দলটি নতুন প্রার্থী বাছাইয়ে তরুণ, পেশাজীবী ও নতুন মুখকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
নির্বাচনের বাকি সময় খুব বেশি না থাকলেও প্রার্থী ঘোষণার এই ধারা বজায় থাকলে গণঅধিকার পরিষদ একটি শক্তিশালী নির্বাচনী কাঠামো গড়ে তুলতে পারবে বলে আশা করছে রাজনৈতিক মহল। তবে চূড়ান্ত ফলাফল নির্ভর করবে ভোটারদের কাছে দলটির গ্রহণযোগ্যতা ও নির্বাচনী প্রচারণার কার্যকারিতার ওপর।
এদিকে দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তিগুলোও পিছিয়ে নেই। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বিভিন্ন দল প্রার্থী চূড়ান্ত করার ঘোষণা দিচ্ছে এবং মাঠ পর্যায়ে প্রচার শুরু করছে। সব মিলিয়ে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন এখন চরম সরব ও উত্তপ্ত।