মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনেই প্রকাশ্য দিবালোকে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে চাঁদা দিতে অস্বীকার করার কারণে পাথর মেরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. শফিকুর রহমান এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সমাজে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে মোহাম্মদ সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে পাথর ছুঁড়ে নির্মমভাবে হত্যা করার ঘটনাটি দেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ স্বরূপ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে গভীর শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ডা. শফিকুর রহমান লিখেছেন, “মিটফোর্ডের ঘটনাটি শুনে আমি দেশের বাইরে অবস্থান করেও ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। এ কোন যুগ? এ কোন সমাজ? প্রকাশ্য দিবালোকে একজন সাধারণ ব্যবসায়ীকে শুধুমাত্র চাঁদা দিতে অস্বীকার করার জন্য এভাবে জনসমক্ষে পাথর মেরে হত্যা করা কতটা নৃশংস এবং অমানবিক!”
তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “হে মজলুম পরিবার, তোমাদের কাছে আমরা লজ্জিত। ব্যবসায়ী ভাই সোহাগের প্রতি আমাদের আন্তরিক শ্রদ্ধা। আমরা তার প্রতি সঠিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছি, এজন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত।”
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির আরও বলেছেন, “সমাজকে এখন জেগে উঠতে হবে। একজন মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার মানে হলো অন্যের বিপদে সহানুভূতি দেখানো। আজ যদি তুমি কারো দুর্দশায় চুপ থাকো, তাহলে আগামীকাল যখন তোমার ওপর বড় বিপদ এসে দাঁড়াবে, তখন তুমি কারো সহায়তা পাবে না।”
ডা. শফিকুর রহমান সমগ্র সমাজকে আহ্বান জানিয়েছেন, ভয়ে কিংবা সংকোচে না পড়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তার মতে, সামাজিক একতা ও প্রতিরোধ ছাড়া এই ধরনের বর্বরতা থামানো সম্ভব নয়।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত তদন্ত শুরু করেছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং তাঁরা দ্রুত ন্যায়বিচার কামনা করছেন।
এই নির্মম ঘটনার মাধ্যমে আমাদের সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের একটি স্পষ্ট চিত্র উঠে এসেছে। ব্যবসায়ী সোহাগের মতো ক্ষুদ্র ও সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় সমাজ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর মনোভাব প্রয়োজন।