ছাতকে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ উঠেছে।
ছাতকের নোয়াগাঁও সেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক মোঃ হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয় মেরামত, ওয়াশ ব্লকে টাইলস করার কাজ,শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান সহ বিভিন্ন কাজে কৌশলে অনিয়ম দূর্নীতি করে যাচ্ছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হেলাল উদ্দিন এমন অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। বেশ কয়জন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক জানান উপবৃত্তির জন্য কয়েক বার তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মোবাইল নাম্বার নিয়েছেন শিক্ষক কিন্তু শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি পাচ্ছেন না, কি কারনে তারা উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত জানতে চাইলে সন্তুষ্ট মূলক কোনো জবাবও দিচ্ছেন না ঐ শিক্ষক।
এবং একজন শিক্ষিকা শিক্ষকের ব্যক্তিগত নিয়োগপ্রাপ্ত এমন অভিযোগ তাদের রয়েছে,
গত জুলাই আগষ্ট
ছাত্রজনতার গনঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর বিদ্যালয়ের ওয়াশ ব্লকের টাইলস লাগানোর কাজ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত কাজ সমাপ্ত করা হয় নি, চলমান কাজের হয়েছে অনিয়ম,এতে বিদ্যালয়ে পরে থাকায় নষ্ট হয়েছে সরকারি মালামাল। তাছাড়াও বিদ্যালয় রংগের কাজে বিলম্ব সহ রয়েছে অনিয়ম দূর্নীতি। বিভিন্ন কারনে প্রবীণরা মুখ না খুললে ও মুখ খুলেছেন তরুণ প্রতীবাদী যুবকরা, এসব বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুবকরা লেখালেখি ও করেছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক মোঃ হেলাল উদ্দিন সংবাদ কর্মী কে জানান
টাইলস লাগানোর কাজ শেষ,রংগের কাজ চলমান রয়েছে, তাছাড়াও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকল শিক্ষক সরকারি নিয়োগপ্রাপ্ত, কিছু ব্যক্তি বুঝে না বুঝে আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন, আমি যদি দুর্নীতি করেই থাকি আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষ আছে সেখানে তারা অভিযোগ দিতে পারতো,অযথা অপপ্রচার করেই যাচ্ছে। এসকল বিষয় এলাকার মুরুব্বিয়ান ও সাবেক পরিচালনা কমিটির দায়িত্বলীশরাই ভাল করে জানেন আমি অনিয়ম ও দুর্নীতি করছি কি না।বিদ্যালয়ে বর্তমানে এড হক কমিটি সকল কাজ কর্মের তদারকি করছেন এড হক কমিটির দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।
আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার এড হক কমিটির পরামর্শ ক্রমে আমি পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
মূল ঘটনাটি কি জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আজিজ উদ্দিন বলেন এসব কাজ এসেছে আমার মেয়াদ কলীন সময়ের পর বর্তমানে আমার বিদ্যালয়ে যোগাযোগ নেই আমি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করি এসব কিছু আমার জানা নেই, তবে মানুষ জন আলাপ আলোচনা করতে শুনেছি।
বর্তমান এড হক কমিটির সদস্য আলা উদ্দিন বলেন আমি জানি বিদ্যালয়ের কাজ তো চলমান রয়েছে,প্রধান শিক্ষক বলেছেন কে বা কারা অপপ্রচার করতেছে
বর্তমানে আমি বাড়িতে নেই বাড়িতে গেলে বিদ্যালয়ে গিয়ে খোঁজখবর নিবো,এটা আমাদের এলাকার বিদ্যালয় দুর্নীতি হতে দিবো না কখনও। বর্তমান এড হক কমিটির সভাপতি ছাতক উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অনুকূল চন্দ্র দাস বলেন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এখন লিখিত কোনো অভিযোগ পাই নি, তবে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়েছি, বিদ্যালয় উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে দুর্নীতি করার কোনো সুযোগ নাই এখানে, আর আমার জানা মতে ঐ বিদ্যালয়ে বেসরকারি নিয়োগ কোনো শিক্ষক বা শিক্ষিকা নেই সবাই সরকারি নিয়োগপ্রাপ্ত।