close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের ঘনঘটা: তদন্তের দাবি উঠছে..

Riyaz  avatar   
Riyaz
আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে, যার মধ্যে রয়েছে দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার।..

বাংলাদেশের প্রশাসনিক অঙ্গনে আলোচিত নাম আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়া। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা চলছে। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, এবং প্রভাব খাটানো। যদিও আসিফ মাহমুদ নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন, তবে এই বিষয়গুলো নিয়ে তদন্তের দাবি উঠেছে।

আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়ার বিরুদ্ধে তার নিজের এলাকায় দুই বার তার বিরুদ্ধে  বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে একবার তো রীতিমতো জুতা,ঝাড়ু নিয়ে তার বিরুদ্ধে জনগন বিক্ষোভ মিছিল করেন।

তার বাবার নামে ঠিকাদারি লাইসেন্স হয়ে যায় সে নাকি সেই লাইসেন্স এর ব্যাপারে কিছুই জানে না।লাইসেন্স এর ব্যাপার টি মিডিয়াতে প্রকাশ হওয়ার পর লাইসেন্স টি বাতিল করা হয়।

তার পিএস এর নামে ৩১১ কোটি টাকা দূর্নীতির অভিযোগ আসে সেটার ব্যাপারেও তার একই কথা সে নাকি কিছুই যানে না।উপদেষ্টার পিএস তার সাহায্য ছাড়াই ৪০০ কোটি টাকা লোপাট করে দেয় ব্যাপার টা হাস্যকর লাগে।

বাংলাভিশন তার বাবার অপকর্মের বিরুদ্ধে ৩০ মিনিটের দীর্ঘ একটি প্রতিবেদন করেন যেখানে অনেক গুলো বিষয় তুলে আনা হয়।প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর আসিফ মাহমুদ বিবৃতি দিলেন ইশরাক হোসেন মেয়র হতে না পেরে মিডিয়া কে ব্যাবহার করে তার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন।আমি মেনে নিলাম ইশরাক হোসেন তার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন কিন্তু গত ১৭ জুলাই জুলকারনাইন সায়ের একটি গোপন ছবি প্রকাশ করে সেখানে একটি লোককে চিহ্নিত করো লিখেন এই লোকটি কে তার জন্যই শিমুল চেয়ারম্যান কে পুলিশ ধরতে পারতেছেন না,জুলকারনাইন সায়ের ইচ্ছা করেই আসিফ মাহমুদ এর বাবার পরিচয়টি গোপন রেখেছিলেন পরবর্তীতে ২৮ জুলাই বাংলাভিশনের প্রতিবেদন থেকে জানতে পারলাম ওই ব্যাক্তিটি আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়ার বাবা।ধরে নিলাম বাংলাভিশনের প্রতিবেদনটি ভুল কিন্তু ১৭ জুলাইয়ে জুলকারনাইন সায়ের তার ফেসবুক পোস্ট এ প্রকাশ করলো সেটিও কি তাহলে ভুল।নাকি আসিফ মাহমুদ এখন বলবেন জুলকারনাইন সায়ের ইশরাক হোসেনকে মেয়র হতে দেয়নি বলে ওই পোস্টটি করেছেন।

কিছুদিন আগে আসিফ মাহমুদ রাষ্ট্রীয় সফরে মরোক্ক তে যায় সেখানে তার সাথে তার সফরসঙ্গী হিসেবে তার ভাতিজাকে নেওয়া হয় পরবর্তীতে সাংবাদিক নাজমুস সাকিব এয়ারপোর্ট এর ভিতরে আসিফ মাহমুদ এবং তার ভাতিজার ছবি সহ বিষয়টি প্রকাশ করেন।রাষ্ট্রীয় সফরে রাষ্ট্রের টাকায় নিজের ভাতিজাকে ভ্রমন করতে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি আসিফ মাহমুদ কিভাবে  ব্যখ্যা করবেন।

আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়া ২০ কোটি টাকার বিনিময়ে আব্দুল লতিফ নামক এক দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে গাজীপুরে বদলি করেন সেই বিষয়ে আব্দুল লতিফ খান এবং আসিফ মাহমুদ এর পিএস এর কথোপকথন এর একটি অডিও রেকর্ড সাংবাদিক নাজমুস সাকিব প্রকাশ করেন,এই বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা আসিফ মাহমুদ এর কাছ থেকে পাওয়া যায় নি।

কিছুদিন আগে আওমিলীগ এর প্রাক্তন এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিছু তরুন গ্রেফতার হয় তাদের ভিতরে একজন গ্রেফতার হওয়ার আগে ভিডিও বার্তায় আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়ার জরিত থাকা কথা স্বীকার তিনি পরবর্তীতে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো তদন্ত করা হয় নি।

টেন্ডারের কমিশন নিয়ে দর-কষাকষির একটি অডিও শেয়ার করেছেন প্রবাসী সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর। সেখানে দাবি করা হচ্ছে অডিওতে একজন ঠিকাদারের সঙ্গে কমিশন নিয়ে দর-কষাকষি করছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার প্রেস সেক্রেটারি মাহফুজ আলম। সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে তদন্তের জন্য কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি।

এত অভিযোগের পরও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো তদন্ত শুরু হয়নি এবং কোনো বিবৃতিও দেওয়া হয়নি। এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত জরুরি।সরকারের উচিত আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়াকে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করিয়ে তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন করা। আসিফ মাহমুদ নিজে পদত্যাগ করে বিচারের সম্মুখীন হলে সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষা পেতে পারে।
এতো অভিযোগ এর একটিও যদি সত্য হয় এরপর কি আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টার পদে বহাল থাকার নৈতিক অধিকার রাখে কিনা সেই প্রশ্ন আপনাদের কাছে রেখে গেলাম।
আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়ার বিরুদ্ধে এত অভিযোগের পর প্রশ্ন উঠছে প্রশাসন ও সরকারের ভূমিকা নিয়ে। এসব অভিযোগের মধ্যে কোনো একটি সত্য হলে তাঁর উপদেষ্টার পদে থাকা নৈতিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই বিষয়গুলোর সমাধান হওয়া উচিত, যাতে প্রশাসনের উপর জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার হয়।

No comments found