বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সোমবার সকালেই এক জরুরি পূর্বাভাসে জানিয়েছে, দেশের অন্তত সাতটি অঞ্চলে দুপুর ১টার মধ্যেই বজ্রসহ দমকা ঝড় বয়ে যেতে পারে। এসব অঞ্চলের মানুষের প্রতি সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে, কারণ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে থাকবে বজ্রপাত ও বৃষ্টির সম্ভাবনা। এই পরিস্থিতিতে নৌচলাচলের ওপরও বিশেষ সতর্কতা আরোপ করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক জানান, এই ঝড়ো আবহাওয়ার সম্ভাব্য সময়কাল দুপুর পর্যন্ত সীমাবদ্ধ হলেও এর প্রভাব থাকতে পারে বিকেল পর্যন্ত।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ যেসব এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে, সেগুলো হলো:
-
রংপুর
-
রাজশাহী
-
পাবনা
-
বগুড়া
-
টাঙ্গাইল
-
ময়মনসিংহ
-
সিলেট
এই অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে অস্থায়ী বজ্রসহ বৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে। সংশ্লিষ্ট নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, শুধু সাতটি অঞ্চলেই নয়, আজ সারাদেশেই বৃষ্টিপাতের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাবে। বিশেষ করে:
-
রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ এলাকায়
-
খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক স্থানে
এইসব অঞ্চলে দমকা হাওয়া ও বিদ্যুৎ চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পূর্বাভাসে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। যদিও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কিছু কিছু অঞ্চলে সাময়িকভাবে তাপমাত্রা কম অনুভূত হতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা পরামর্শ দিচ্ছেন, যেসব অঞ্চলে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে, সেই এলাকার বাসিন্দাদের দুপুরের আগে বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে কৃষিজ ও নৌচালকদের সর্তকভাবে চলাফেরা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নৌযান চালকদের উদ্দেশ্যে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। হালকা নৌযানগুলো যেন ঝুঁকি না নেয়, সেই বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে হঠাৎ ঝড় ও বজ্রপাত একটি সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকের এই পূর্বাভাস সেই বাস্তবতারই নতুন উদাহরণ। তাই পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আগেই নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়া এবং আবহাওয়ার হালনাগাদ তথ্য অনুসরণ করাই এখন সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।