close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ডোমারে ব্লাস্ট রোগে ধানের ব্যাপক ক্ষতি, কৃষক বলছেন: দোষ দেবো কাকে?..

Md Roman kabir avatar   
Md Roman kabir
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাঙ্গা মটকপুর ইউনিয়নে কৃষকদের মুখে নেমে এসেছে হতাশার ছায়া। ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে প্রায় ৫০-৬০ একর জমির ধান ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।..

একাধিকবার কীটনাশক স্প্রে করেও রোগের প্রকোপ কমছে না। ফলে চরম সংকটে পড়েছেন এলাকার কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষক বশির উদ্দিন বলেন, “দোকানদারের পরামর্শে একাধিকবার ওষুধ স্প্রে করেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। এখন দেখছি শীষগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। দোষ দেবো কাকে? ভাগ্যকে, দোকানদারকে, না কি নকল ওষুধ বিক্রেতাকে?”

একই অভিযোগ করেছেন আরও অনেক কৃষক। তাদের দাবি, বাজারে পাওয়া অধিকাংশ কীটনাশকই কার্যকর নয়। এতে অতিরিক্ত খরচ করেও ফসল রক্ষা করা যাচ্ছে না।

কৃষক শাহিনুর ইসলাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, “কৃষকের খবর নিন, না হলে গণেশ উল্টে যাবে। কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ।”

প্রবীণ কৃষক হায়দার আলী বলেন, “আগে সরকারি কর্মকর্তা মাঠে আসতেন, খেত পরিদর্শন করতেন। এখন আর কেউ খোঁজ নেন না। আগে এমন ক্ষতি হতো না।”

তরিকুল ইসলাম নামের এক কৃষক জানান, “এতদিন কৃষিকাজ করছি, কিন্তু কোনো সরকারি অনুদান পাইনি। নিজে ঋণ করে ধান লাগিয়েছি, ওষুধ কিনেছি। এখন আল্লাহর ওপর ভরসা করে বসে আছি।”

এই সংকটের কথা জানতে পেরে স্থানীয় সাংবাদিকের মাধ্যমে ডোমার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে এক সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে মাঠ পর্যবেক্ষণে পাঠানো হয়।

পরিদর্শনে দেখা যায়, যেসব জমিতে জিরা জাতের ধান চাষ করা হয়েছে, সেগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু হাইব্রিড ধানও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে কিছু জমির চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এছাড়া সমস্যা চিহ্নিত হওয়ার পর থেকে ডোমার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার নেতৃত্বে নিয়মিত কৃষকদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পরামর্শ প্রদান, সঠিক কীটনাশক ব্যবহারের দিকনির্দেশনা এবং মাঠ পর্যায়ে উপস্থিতি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তবে কৃষকদের অভিযোগ, স্থানীয় বাজারে পাওয়া ওষুধগুলোর মান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে সরকারি কৃষি কর্মকর্তাদের উপস্থিতি একেবারেই সীমিত।

কৃষকরা বলছেন, ধান শুধু ফসল নয়, তাদের জীবন-জীবিকা। এ অবস্থায় সরকারি সহায়তা এবং সঠিক পরামর্শ না পেলে কৃষির ভবিষ্যৎ অন্ধকারে হারিয়ে যেতে পারে।

 

कोई टिप्पणी नहीं मिली