ঢাকার দোহার উপজেলায় ফজরের নামাজ শেষে হাঁটার সময় নয়াবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সিনিয়র শিক্ষক হারুন-অর-রশিদ ওরফে হারুন মাস্টারকে ফিল্মি কায়দায় গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে বাহ্রা ঘাট জাবেদ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মতো ওই সকালে পদ্মা নদীর পাড় দিয়ে হাঁটছিলেন হারুন মাস্টার। এসময় হঠাৎ দুটি মোটরসাইকেলে চার যুবক এসে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও চার রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়।
তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নুসরাত তারিন তন্নি মৃত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, “একটি গুলি তার মাথা ভেদ করে গাল দিয়ে বের হয়ে গেছে। এছাড়া শরীরজুড়ে চারটি গুলির চিহ্ন এবং ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।”
ঘটনার পরপরই হাসপাতাল ও নিহতের বাড়িতে ভিড় করেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সহকর্মীরা। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
নিহত হারুন মাস্টার বাহ্রা হাবিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ছিলেন। মাত্র ১৭ দিন পর তার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। রাজনীতির মাঠেও দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ বিষয়ে দোহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাসান বলেন, “আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গিয়েছি। নিহতের শরীরে চারটি গুলির চিহ্ন এবং ৫-৬টি ধারালো অস্ত্রের কোপ পাওয়া গেছে। বিস্তারিত জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি।”
এখনও পর্যন্ত হত্যার কারণ সম্পর্কে কেউ স্পষ্টভাবে কিছু বলেননি। তবে এই নৃশংস ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় আতঙ্ক ও উদ্বেগ বিরাজ করছে।