close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
দক্ষিণ কোরিয়ার গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনে তারেক রহমানের ঐক্যবার্তা: নিপীড়নের বিরুদ্ধে একাত্মতার ডাক


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামরত দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তিনি সাহসী কোরীয়দের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন।
তারেক রহমান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেন, “গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করা দক্ষিণ কোরিয়ার সাহসী জনগণের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি।”
রাজনৈতিক নিপীড়নের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে তারেক রহমান উল্লেখ করেন, “বাংলাদেশে, আমরা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে একটি দমনমূলক শাসন সহ্য করছি। গণতন্ত্রের জন্য যে ত্যাগ, ধৈর্য এবং দৃঢ় সংকল্পের প্রয়োজন, তা আমরা গভীরভাবে অনুভব করতে পারি।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের উভয় জাতি নির্বাচিত সরকারের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে অপব্যবহার করার বিপদ সম্পর্কে ভালোভাবেই জানে। এটি দুই দেশের জন্য একটি অভিন্ন চ্যালেঞ্জ।”
গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের সাফল্যের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “জনগণের অদম্য শক্তিই পারে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে। এটি প্রমাণিত যে একটি দৃঢ়সংকল্প জাতির শক্তি কখনো হারিয়ে যায় না।”
ভবিষ্যৎ গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি রাজনৈতিক নেতা ও নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমেই আমরা জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে পারি এবং একটি ন্যায় ও মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।”
তারেক রহমানের এই বার্তা কেবল দক্ষিণ কোরিয়ার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি সমর্থন নয়, বরং বিশ্বের গণতন্ত্রপন্থী দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সংহতিরও আহ্বান বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, তারেক রহমানের এই বক্তব্য নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের এক প্রতীকী বার্তা বহন করে। দক্ষিণ কোরিয়ার চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাথে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের অভিন্ন চ্যালেঞ্জ তুলে ধরার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক সমর্থনের একটি সেতু তৈরি করতে চান তিনি।
বৈশ্বিক গণতন্ত্রের জন্য এটি একটি ঐক্যবার্তা এবং নিপীড়নের বিপক্ষে গণজাগরণের নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে পারে।
No comments found