খান মোঃ আঃ মজিদ দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি
পুলিশ প্রশাসনের চাকরি কাঠামো অনুযায়ী একই স্থানে কেউ চিরস্থায়ীভাবে থাকতে পারেন না। নিয়মিত বদলি ও রোটেশনই এই ব্যবস্থার অংশ। এরই ধারাবাহিকতায় দিনাজপুর জেলায় বদলি হয়েছে দায়িত্বশীল ও সাহসী পুলিশ সুপার মারুফ হাসানের। তিনি দায়িত্ব পালনকালে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছিলেন প্রতিবাদী এবং কোনো রাজনৈতিক প্রভাব, সুবিধাবাদ কিংবা অনিয়মকে কখনোই প্রশ্রয় দেননি—এটা দিনাজপুরবাসী ভালো করেই জানেন। তবে দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, সমাজের কিছু অসাধু ব্যক্তি—যারা ঘুষ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, কালোবাজারি, নারী ও শিশু পাচার ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত—তাদের কারণে অনেক সময় পুরো পুলিশ প্রশাসন সমালোচনার মুখে পড়ে। একমাত্র সুবিধাবাদী মানুষেরাই পুলিশের আশ্রয় নিয়ে থাকে; ভালো মানুষ কখনো পুলিশের আশ্রয় নিতে চায় না। ফলে কিছু ব্যক্তির অনিয়মের কারণে দশজন সৎ পুলিশ সদস্যকেও বদনামের বোঝা বইতে হয়। সমাজের প্রভাবশালী কিছুজনের চাপ অনেক সময় সৎ কর্মকর্তাদেরও বিব্রতকর অবস্থায় ফেললেও ভালো কাজ করলে তারা প্রশংসা পায় খুব কম, বরং প্রতিবাদ করলে সমালোচনার শিকার হয়—এটাই বাস্তবতা। এদিকে জানা গেছে, কুমিল্লা থেকে বদলি হয়ে দিনাজপুরের নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দিচ্ছেন জেদান আল মূসা। তার আগমনে দিনাজপুরবাসীর মধ্যে নতুন প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। জেলার কোতোয়ালি সহ ১২টি থানা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা করছে সবাই। দিনাজপুরের সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা—নতুন এসপি জেদান আল মূসা জেলার অনিয়ম, দুর্নীতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, রাহাজানি, লুটপাট, কালোবাজারি, নারী ও শিশু পাচার ও মাদককারবারের বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা রাখবেন। তরুণ সমাজকে মাদক ও অপরাধের ছোবল থেকে রক্ষা করবেন। এতে অভিভাবকরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারবেন বলে মনে করছেন সচেতন মহল। দিনাজপুরবাসী আশাবাদী—একজন দক্ষ, সৎ ও মানবিক পুলিশ সুপার পেলে জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।



















