close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

দিল্লি নয় পিন্ডি নয় সবার আগে বাংলাদেশ: তারেক রহমান

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
এই স্লোগানকে সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক বার্তা দিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ রাজধানীর নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত 'তারুণ্যের সমাবেশ'-এ ভার্চুয়াল ভাষণে তিনি জানালেন, আগামী দিনের বা..

আগামীর রাজনীতি হবে ‘কাজের রাজনীতি’, ‘প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন’—বললেন তারেক রহমান

তারেক রহমান বলেন, “আর কথার রাজনীতি নয়। এখন সময় এসেছে বাস্তবায়নের রাজনীতি করার। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে কেউ বেকার থাকবে না, যেখানে তরুণরা বিদেশমুখী হবে না, বরং দেশেই ভবিষ্যৎ গড়বে।”

তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে পরিবারকেন্দ্রিক আর্থিক সহায়তার জন্য চালু করা হবে "ফ্যামিলি কার্ড", যার মালিক হবেন পরিবারপ্রধান নারী। এর মাধ্যমে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হবে বলে জানান তিনি।

শুধু নারীদের জন্যই নয়, কৃষকদের দিকেও নজর দিচ্ছে বিএনপি। "ফারমার্স কার্ড" চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, “এটি হবে কৃষকের সম্মান ও স্বীকৃতির প্রতীক। কৃষিই হবে দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।”


নির্বাচন নিয়ে সাফ বার্তা: “ক্ষমতায় থাকতে চাইলে জনতার কাতারে আসুন

তারেক রহমান বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “কেউ যদি সত্যিই ক্ষমতায় থাকতে চান, তাহলে পদত্যাগ করে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন করুন। মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসুন।”

তিনি আরও বলেন, “জনগণের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হলে অন্তর্বর্তী সরকারের এমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, যা পক্ষপাতহীন ও গ্রহণযোগ্য।”

তারেক রহমান এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে জানান, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানাচ্ছে বিএনপি। তিনি বলেন, “এই নির্বাচনই নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পথচলা।”


কেন এই বার্তায় গুরুত্ব?

  • এই বক্তব্য শুধু রাজনৈতিক বক্তব্য নয়, এটি বিএনপির আগামী নির্বাচনী রূপরেখার আগাম আভাস।

  • তরুণদের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব, যা বর্তমান সময়ের সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক বিষয়।

  • নারীর ক্ষমতায়ন এবং কৃষকদের প্রতি অঙ্গীকার, যা গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙা করার প্রতিশ্রুতি বহন করে।

  • “আগে বাংলাদেশ”—এই জাতীয়তাবাদী স্লোগান রাজনৈতিকভাবে ভীষণ শক্তিশালী ও তাৎপর্যপূর্ণ।


 

তারেক রহমানের আজকের বার্তা ছিল সুস্পষ্ট, কৌশলগত এবং সময়োপযোগী। বিএনপি যে তরুণদের ঘিরেই ভবিষ্যতের নতুন পথ রচনা করতে চায়, তা আজকের বক্তৃতাতেই প্রতিফলিত হলো। একই সঙ্গে, দেশের সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং গণতান্ত্রিক মান বজায় রাখার প্রক্রিয়ায় এক নতুন রাজনৈতিক দিগন্তের ইঙ্গিত দিলেন তিনি।

Không có bình luận nào được tìm thấy