মাঠের লড়াইয়ের সঙ্গী ও বন্ধুরা এসেছেন শেষবারের মতো বিদায় জানাতে—রুবেন নেভেস, ভার্জিল ফন ডাইক, অ্যান্ডি রবার্টসনসহ অনেকেই সেখানে।
লিভারপুল—যে ক্লাবের হয়ে জোতা নিজের সর্বস্ব ঢেলে দিয়েছিলেন, নিয়েছে এক মানবিক পদক্ষেপ। পর্তুগালের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম ‘রেকর্ড’ জানিয়েছে, জোতার সঙ্গে থাকা বাকি দুই বছরের চুক্তির পুরো অর্থ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে লিভারপুল।
২০২২ সালে পাঁচ বছরের চুক্তি নবায়ন করেছিলেন জোতা। সেই অনুযায়ী তাঁর চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০২৭ সাল পর্যন্ত। প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার পাউন্ড আয় করতেন তিনি, যা বছরে দাঁড়ায় প্রায় ৭২ লাখ পাউন্ড। বোনাস বাদ দিয়ে, কেবল পারিশ্রমিক হিসেবেই তাঁর প্রাপ্য ছিল প্রায় ১ কোটি ৪৫ লাখ পাউন্ড—বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৪২ কোটি টাকা। এই বিশাল অঙ্কের অর্থই তাঁর পরিবারকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লিভারপুল, যা ফুটবল–বিশ্বে বিরল এক নজির।
গত বৃহস্পতিবার স্পেনে এক ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান দিয়োগো জোতা ও তাঁর ভাই আন্দ্রে সিলভা, যিনি নিজেও ছিলেন পেশাদার ফুটবলার। মৃত্যুর কিছুদিন আগে শৈশবের ভালোবাসা রুতে কারদোসোর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন জোতা। তাঁদের সংসারে রয়েছে তিনটি সন্তান।
লিভারপুলের হয়ে এফএ কাপ, দুটি লিগ কাপ এবং সর্বশেষ মৌসুমে ক্লাবটির ২০তম প্রিমিয়ার লিগ শিরোপাও জিতেছেন জোতা। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ক্লাবের সিদ্ধান্ত—২০ নম্বর জার্সিটি আর কোনো ফুটবলার পরবেন না। অ্যানফিল্ডে সেই জার্সি এখন চিরস্মরণীয়।
লিভারপুল এক বিবৃতিতে জানায়,
“২০২৪–২৫ মৌসুমে ক্লাবের ২০তম লিগ শিরোপা জয়ে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। মার্সিসাইড ডার্বিতে তাঁর সেই স্বভাবসুলভ হালকা দোলানো শরীরের গোলটি আজো চোখে ভাসে—সেটিই ছিল তাঁর জীবনের শেষ গোল।”
অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইক ইনস্টাগ্রামে লেখেন, “এই দুঃসময়ে এবং আজীবন আমরা তোমার পরিবারের পাশে থাকব। তুমি চিরকালীন চ্যাম্পিয়ন, চিরকালীন ২০ নম্বর।”