close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ধুলোবালি বিক্রি করে আয় লাখ টাকা!

সাইদুল ইসলাম avatar   
সাইদুল ইসলাম
স্বর্ণের গহনা তৈরির উচ্ছিষ্ট ধুলোবালি থেকে লক্ষাধিক টাকা আয় করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।..

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার স্বর্ণকার দোকানগুলোতে প্রতিদিন সকাল ও রাত—দুই সময়ই দোকান ঝাড়ু দেওয়া হয়। তবে এই ঝাড়ু দেওয়া শুধু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য নয়, এর পেছনে রয়েছে বাড়তি উপার্জনের একটি চমকপ্রদ রহস্য।

 

দোকানের মালিক ও কারিগররা ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করা ধুলোবালি ফেলে না দিয়ে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় জমিয়ে রাখেন। এক বছর পর এই ধুলোবালি বিক্রি করে আয় করছেন মোটা অঙ্কের টাকা। কেউ কেউ এই ধুলোবালি থেকে বছরে দেড় লাখ টাকার মতো আয় করছেন বলে জানিয়েছেন। 

 

জানা যায়, স্বর্ণের গহনা তৈরি করার সময় কারিগরদের কাটিং, পলিশ, ডিজাইনসহ বিভিন্ন কাজে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বর্ণের কণা নিচে পড়ে যায়। সাধারণ ধুলোবালির সঙ্গে মিশে যাওয়া এই স্বর্ণকণাগুলো তারা যত্ন করে জমিয়ে রাখেন এবং বছর শেষে নির্দিষ্ট পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন।

 

জুটন দাস নামক এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী জানান, আমাদের ধুলোবালিরও অনেক চাহিদা রয়েছে, প্রতিদিনের উচ্ছিষ্ট ফেলে না দিয়ে তা আমরা জমিয়ে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিক্রি করতে পারি৷ আমি সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকাও বিক্রি করেছি। তবে এখন বেচাকেনা একটু কম।

 

সাইদী ইসলাম নামক আরেক ব্যবসায়ী জানান, আমাদের দোকানের ধুলোবালি, ব্যবহৃত কাপড় সহ সকল উচ্ছিষ্টই পাইকারদের কাছে বিক্রি করতে পারি। সাধারণ মানুষরা শোনলে বিশ্বাসই করবেনা যে,আমাদের দোকানের ধুলোবালির দামও হাজার হাজার টাকা। আমি প্রতিবছর ৬০-৭০ হাজার টাকার ধুলোবালি বিক্রি করি,এতে যা আয় হয় তা থেকে দোকান ভাড়া ও কারিগরকেও খুশি করি। 

 

এই ব্যতিক্রমী উপার্জনের কথা শুনে অবাক সাধারণ মানুষজনও। অনেকে বলছেন, আল্লাহর সৃষ্টির কোনো কিছুই ফেলনা নয়, প্রতিটা জিনিসেরই মূল্য আছে।

 

কসবা পুরাতন বাজারের কাপড় ব্যাবসায়ী এইচ এম মামুন বলেন,ধুলোবালি বিক্রি করেও টাকা উপার্জন করা যায় তা আমি আজ প্রথম জানলাম।আমার কাছে এইটা অবিশ্বাস্য। 

 

প্রবাসী আশরাফুল ইসলাম রনি বলেন, এই প্রথম এই বিষয়টি জানলাম, আসলে আল্লাহর সৃষ্টি কোন কিছুই ফেলার নয়;আমরা সঠিকভাবে অনুসন্ধান করলে হয়ত এর সন্ধান পাব। 

 

দিনকে দিন স্বর্ণের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর উচ্ছিষ্ট্য, ফেলনা বা ধুলোবালিরও দাম বাড়ছে। তাই সচেতন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এখন এসব ফেলনা সামগ্রীকেও পরম যত্নে সংরক্ষণ করে বাড়তি আয় করছেন। এটি যেমন ব্যবসায়িক চাতুর্যের নিদর্শন, তেমনি কর্মদক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয়ও।

 

コメントがありません