close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ধূলিয়ার ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়ীবাঁধে পর্যটকের ভিড় | তেতুলিয়া নদীর পাড়ে নতুন ভ্রমণ আকর্ষণ..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
হুজাইফা ইসলাম 
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাউফল (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ধূলিয়ায় তেতুলিয়া নদীর তীরে অবস্থিত ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়ীবাঁধ এখন স্থানীয় পর্যটকদের জন্য এক অনন্য দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে। প্রকৃতির সৌন্দর্য, নদীর ঢেউ, শীতল বাতাস এবং সূর্যদয়-সূর্যাস্তের অপূর্ব দৃশ্য একসাথে উপভোগ করার এক বিরল সুযোগ এনে দিয়েছে এই বেড়ীবাঁধ।

নদীর বুক চিরে ভেসে চলা নৌকা-স্পিডবোট

ধূলিয়া বেড়ীবাঁধের বিশেষ আকর্ষণ হলো নৌভ্রমণ। এখানে ঘোরাঘুরি ও আনন্দ উপভোগের জন্য রয়েছে নৌকা ও স্পিডবোটের ব্যবস্থা। যারা পানির ধারে ঘুরতে ভালোবাসেন, তারা সহজেই নৌকায় উঠে নদীর বুকে ভেসে বেড়াতে পারেন। নৌকা কিংবা স্পিডবোটে চড়ে ঢেউয়ের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলার অভিজ্ঞতা যে কোনো ভ্রমণপ্রেমীর মন ছুঁয়ে যাবে।

বাতাসে মন হারানো, ঢেউয়ে মন ভেজানো

তেতুলিয়া নদীর পানি প্রতিনিয়ত ঢেউ তুলে ছুটে চলে। সেই ঢেউয়ের শব্দ, হিম বাতাস আর খোলা আকাশ যেন এক অদ্ভুত প্রশান্তির আবেশ ছড়িয়ে দেয়। সকালে সূর্য উঠার মুহূর্ত কিংবা সন্ধ্যায় লাল আভায় ভরা সূর্যাস্ত—এই দুটি সময় যেন প্রকৃতির রঙের খেলা উপভোগ করার শ্রেষ্ঠ সময়।

স্থানীয়দের উদ্যোগে গড়ে উঠছে পর্যটন পরিবেশ

স্থানীয়দের সহযোগিতায় এখানে এখন ছোট ছোট খাবারের দোকান, বসার স্থান ও নৌকা ভাড়া কেন্দ্র গড়ে উঠছে। প্রতি সপ্তাহে বিশেষ করে শুক্র ও শনিবার পর্যটকদের আনাগোনা বেশি দেখা যায়। অনেকে পরিবারসহ এখানে এসে দিনব্যাপী আনন্দ করেন।

পর্যটনের সম্ভাবনা ও প্রয়োজনীয়তা

ধূলিয়া বেড়ীবাঁধকে ঘিরে একটি পূর্ণাঙ্গ পর্যটন এলাকা গড়ে তোলার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। যদি সরকার বা স্থানীয় প্রশাসন আধুনিক অবকাঠামো গড়ে তোলে, তবে এটি হতে পারে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম ভ্রমণকেন্দ্র।

کوئی تبصرہ نہیں ملا