close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা চালালে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
During his visit to Kishoreganj’s Pagla Mosque, Religious Affairs Adviser Dr. A.F.M. Khalid Hossain warned that anyone attacking mosques, shrines, madrasas, or orphanages will face strict legal action..

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে পরিদর্শন শেষে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন স্পষ্ট জানালেন—মসজিদ, মাজার, মাদ্রাসা বা এতিমখানায় হামলা চালালে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে পরিদর্শন শেষে দেশের সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন। রবিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি সতর্ক করে বলেন, “মাজার, মসজিদ, মাদ্রাসা বা এতিমখানায় হামলা চালানো কিংবা ধ্বংস করার চেষ্টা করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। একবার মামলা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করবে।”

তিনি জানান, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং এসব ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে রয়েছে। হামলার ঘটনায় কিছু এলাকায় মামলা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ধর্ম উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “মাজার, মসজিদসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। প্রয়োজনে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে, যাতে যেকোনো হামলার ঘটনা তাৎক্ষণিক শনাক্ত ও প্রতিরোধ করা যায়।”

পরিদর্শনের সময় তিনি কিশোরগঞ্জের নির্মাণাধীন জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ঘুরে দেখেন এবং কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন। এরপর পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্সে গিয়ে মোতাওয়াল্লীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

পাগলা মসজিদের তহবিলে বর্তমানে ৯০ কোটিরও বেশি টাকা রয়েছে জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “এখানে একটি দৃষ্টিনন্দন মাল্টি পারপাস ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। নির্বাচনের আগেই আমরা এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে চাই।”

তিনি আরও জানান, নতুন এই কমপ্লেক্সে অনাথ ও এতিম শিশুদের জন্য শিক্ষা ও আবাসনের ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি থাকবে সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, আধুনিক আইটি সেকশন এবং চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্র, যেখানে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত অসহায় রোগীরা আর্থিক সহায়তা পাবে।

পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, পাগলা মসজিদের ইমাম ও মোতাওয়াল্লীরা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর দুপুরে তিনি আল জামিয়াতুল এমদাদিয়া আয়োজিত “ইসলামী অর্থনীতির গুরুত্ব” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন এবং সেখান থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশে যাত্রা করার কথা জানান।

Nessun commento trovato