মাসুদ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে কথা বলেন। তার মতে, "আজকে আপনাকে শাহবাগী, বা আমাকে শাহবাগী বা আরেকজনকে হেফাজতি, রাজাকার বলা হচ্ছে। কিন্তু শাহবাগের ঘটনা তো ঘটেছে। নতুন করে আবার তারা ইন্ধন নিয়ে নেমেছে। আবার পুলিশের সামনে হামলা করার প্রক্রিয়া তো আমরা দেখেছি। তাদেরকে কেন গ্রেপ্তার করা গেলো না?" তিনি আরও বলেন, "ঢালাওভাবে রাজাকার বলারও কোনো সুযোগ নেই। ঢালাওভাবে শাহবাগী বলারও কোনো সুযোগ নেই।"
তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী থেকে তাদের অ্যাক্টিভিস্টদের জন্য কিছু নির্দেশনা রয়েছে, "আমাদের অ্যাক্টিভিস্টদের আমরা কয়েকবার বলেছি যে অ্যাগ্রেসিভ কোনো কমেন্টস করা বা গালি দেওয়া যাবে না। পলিটিক্যাল ফর্মালিটি রক্ষা করতে হবে।"
মাসুদের এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে এবং অনলাইন সম্প্রদায়ে নতুন আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি একদিকে যেমন রাজনৈতিক শিষ্টাচার ও ভদ্রতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন, তেমনি অন্যদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অযথা অভিযোগ ও আক্রমণের বিরুদ্ধে সতর্কতা প্রদান করেছেন।
তবে, এই বক্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছে প্রশ্ন উঠেছে, কেন জামায়াতে ইসলামী এমন মন্তব্য করে রাজনৈতিক শিষ্টাচার রক্ষা করতে চাচ্ছে, অথচ দলের মধ্যে স্বাধীন মতামতের প্রসারে অনেক সময় অশালীনতা বা আক্রমণাত্মক ভাষার ব্যবহার ঘটে।
সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে রাজনৈতিক বিতর্ক এবং মতবিনিময়ের গতি বৃদ্ধির সাথে সাথে এই ধরনের মন্তব্য আরও বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এই বিষয়ে সমাজের মধ্যে সঠিক রাজনৈতিক আচরণ ও শিষ্টাচারের চর্চা, পাশাপাশি একে অপরকে অসম্মানিত না করার মনোভাব গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।