বর্তমানে ঢাকায় বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম ২.৫)-এর পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত মানদণ্ডের তুলনায় ৯.৬ গুণ বেশি। তবে, গত কিছুদিনের তুলনায় বায়ুদূষণের মাত্রা অনেকটা কমেছে।
ঢাকার মধ্যে আজ সবচেয়ে দূষিত বাতাস বিরাজ করছে বেচারাম দেউরি এলাকায়, যেখানে একিউআই স্কোর ১৬০। এর পরবর্তী স্থানগুলোতে রয়েছে মাদানি সরণির বেজ এজওয়াটার (১৫৮) এবং মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং (১৫৩)। এই এলাকাগুলোর বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর' পর্যায়ে রয়েছে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
আজকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বের বায়ুদূষণের শীর্ষে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু শহর। কাঠমান্ডুর পর পরই রয়েছে দুবাই (সংযুক্ত আরব আমিরাত) এবং চিয়াং মাই (থাইল্যান্ড)। এই শহরগুলোর বাতাসের মানও ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
আইকিউএয়ারের স্কোর অনুযায়ী, যদি কোনো শহরের একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তাহলে সেই শহরের বায়ু ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ স্কোর হলে বায়ু মাঝারি বা সহনীয় হিসেবে ধরা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর হলে বায়ু ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত হয়, এবং ১৫১ থেকে ২০০ স্কোর হলে সেটি ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে বায়ু ‘ভীষণ অস্বাস্থ্যকর’ বলে ধরা হয়।
বিশ্বজুড়ে এই সমস্যা দিন দিন আরও প্রকট হচ্ছে, যা মানুষের শ্বাসকষ্ট, এলার্জি, শ্বাসযন্ত্রের নানা সমস্যা এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যগত জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। শহরের বায়ুদূষণের এই অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, বিশেষ করে দুষণ কমানোর জন্য।