ঢাকায় চলবে ৪০০ বৈদ্যুতিক বাস, চালু হচ্ছে ১ জুলাই থেকে: আসিফ মাহমুদ..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থা আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব হতে যাচ্ছে ১ জুলাই থেকে। আসিফ মাহমুদ জানান, ৪০০টি বৈদ্যুতিক বাস নিয়ে শুরু হচ্ছে নতুন প্রকল্প যা যানজট ও পরিবেশ দূষণ কমাবে এবং শহরবাসীর জীবনমান উন্নত করবে।..

ঢাকা শহরে ১ জুলাই থেকে চালু হবে ৪০০ বৈদ্যুতিক বাস: পরিবেশবান্ধব ও আধুনিক গণপরিবহনের নতুন অধ্যায়

ঢাকা শহরের গণপরিবহন ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তনের সূচনা হতে যাচ্ছে আগামী ১ জুলাই থেকে। স্থানীয় সরকার, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া শুক্রবার (১৬ মে) তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে ঘোষণা করেছেন, ৪০০টি বৈদ্যুতিক বাস ঢাকা নগরে চলাচল শুরু করবে। এটি পরিবেশবান্ধব ও টেকসই গণপরিবহনের অন্যতম বৃহৎ পদক্ষেপ হিসেবে ধরা হচ্ছে।

ঢাকার যাত্রীদের জন্য আধুনিক, নির্ভরযোগ্য এবং দূষণমুক্ত পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যেই এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। বৈদ্যুতিক বাস চালুর মাধ্যমে যানজট কমানো এবং বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে সরকার আশা করছে।

প্রকল্পের বিস্তারিত বিবরণ

  • ৪০০টি বৈদ্যুতিক বাস কেনা হবে এবং দ্রুততম সময়ে ঢাকার সড়কে চালু করা হবে।

  • সার্বিক ব্যাবস্থাপনার জন্য ৩টি চার্জিং ডিপো স্থাপন করা হবে যা বাসগুলোর নিরবচ্ছিন্ন সার্ভিস নিশ্চিত করবে।

  • এই প্রকল্পের সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্পন্ন হবে ২০৩০ সালের মধ্যে।

অর্থায়ন ব্যবস্থা

এই মহাপরিকল্পনার জন্য মোট ২,৫১০ কোটি টাকার বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে, যার মধ্যে:

  • বিশ্বব্যাংক দেবে ২,১৩৫ কোটি টাকা

  • বাংলাদেশ সরকার যোগাবে ৩৭৫ কোটি টাকা

এই অর্থায়নের মাধ্যমে সরকার শুধু যানবাহন কেনা নয়, বরং চার্জিং সুবিধাসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত কাজের জন্যও প্রয়োজনীয় তহবিল নিশ্চিত করেছে।

নগরবাসীর জন্য বড় সুবিধা

ঢাকার বাস যাত্রীরা আশা করতে পারেন যে, এই বৈদ্যুতিক বাসগুলো হবে আধুনিক, আরামদায়ক এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গ্যাস নিঃসরণ করবে না। এতে করে:

  • যানজট কমবে, কারণ বাসগুলো দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।

  • বায়ু দূষণ হ্রাস পাবে, যা ঢাকার প্রধান পরিবেশগত সমস্যা।

  • নাগরিকদের জীবনের মান উন্নত হবে কারণ পরিবহন ব্যবস্থার স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে।

পরিবেশ ও উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব

ঢাকা শহরে গাড়ি থেকে নির্গত বায়ু দূষণ শ্বাসরোগসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যের সমস্যা বাড়িয়ে তুলেছে। বৈদ্যুতিক বাস চালু হলে এই দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে। এটি শুধু পরিবেশ সংরক্ষণে নয়, দেশের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ও বড় অবদান রাখবে।

সরকারি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে

এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের পরিবেশবান্ধব ও স্মার্ট সিটির পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সরকার ইতিমধ্যেই অন্যান্য শহরেও এই ধরনের বাস চালুর পরিকল্পনা করছে। এছাড়া, নতুন বাস চালু করার মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে পরিবহন খাতের সম্পূর্ণ আধুনিকায়ন করা।

উপসংহার

ঢাকার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পুরণ হতে যাচ্ছে এই বৈদ্যুতিক বাস প্রকল্পের মাধ্যমে। ১ জুলাই থেকে যাত্রা শুরু করার ঘোষণা দেশের নগরপরিবহনের ইতিহাসে একটি বিশেষ অধ্যায়ের সূচনা করবে। এটি শুধু পরিবেশ রক্ষা ও যানজট কমানোর জন্য নয়, বরং দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এই উদ্যোগের মাধ্যমে ঢাকা শহরকে আরও আধুনিক, টেকসই এবং বাসযোগ্য করার জন্য সরকারের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

এভাবেই বাংলাদেশের রাজধানী পরিবেশবান্ধব নগর পরিবহনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বিশ্ববাসীর কাছে।

کوئی تبصرہ نہیں ملا